প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির পাশাপাশি বামপন্থীদের সন্ত্রাসের কথাও ভুললে চলবে না। মনে রাখতে হবে বাম আমলের হিংসা, একাধিক কেলেঙ্কারি, লোডশেডিং। সোমবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবারের মহেশতলার বাটা মোড়ের জনসভা থেকে ৩৪ বছরের স্মৃতি মনে করিয়ে সিপিএমকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কয়েকদিন আগেই মহেশতলায় সভা করেছিল সিপিএম। একদা বামপন্থীদের ঘাঁটিতে সেই সভায় অনেক চেষ্টা করেও লোক জোটাতে পারেননি নেতারা। তার একেবারে উল্টো ছবি দেখা গেল সোমবার। তৃণমূলের জনসভায় উপচে পড়ল ভিড়।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টে শপথ নিলেন পাঁচ বিচারপতি
জনসভার প্রধান বক্তা ছিলেন কুণাল ঘোষ। সিপিএমকে তীব্র আক্রমণ করে কুণাল বলেন, আটের দশকে ইংরেজি তুলে দিয়েছিল বাম সরকার। যখন কমপিউটার আসছে, তখন কমরেডরা স্লোগান তুললেন, কমপিউটার ঢুকতে দেব না। হংকং ব্যাঙ্কে ভাঙচুর করলেন। কী হল? বাংলার ছেলেমেয়েরা অন্য রাজ্যে চলে গেল। কয়েকটা প্রজন্মকে এভাবে শেষ করে দিলেন। আর এখন বক্তৃতা করছেন? শিক্ষায় অনিলায়ন-এর কথা ভুলে গেলেন? সবটা কন্ট্রোল করতেন অনিল বিশ্বাস। যাঁরা সিপিএমের হোলটাইমার তাঁদের পরিবারে একাধিক সরকারি চাকরি, কোথা থেকে হল? কোন মেরিট লিস্ট, কোন ওএমআর শিটে এসব হয়েছিল কমরেড? সন্ত্রাস, গণহত্যা, লোডশেডিং, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন— কী ছিল না বাংলায়? তাঁরাও এখন কথা বলছে? আর এখন বাংলায় এই সিপিএম বিজেপির হাত ধরেছে। বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে পারবে না বুঝতে পেরে সঙ্গে নিয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেসকে। এ রাজ্যে বিজেপির দুই ভাই, সিপিএম ও কংগ্রেস আই। দুই ভাই মিলে গোলমাল পাকাচ্ছে। আর বিজেপি কিছু দেখলেই কেন্দ্রের টিম পাঠিয়ে দিচ্ছে। ২০০৯ সালে ভোটে হারবে বুঝেই মারাদোনাকে নিয়ে এসেছিল।
আরও পড়ুন-এক লহমায় মৃত্যুপুরী তুরস্ক–সিরিয়া, প্রবল ভূমিকম্পে নিহত ২৫০০–র বেশি, সাহায্য পাঠাচ্ছে ভারত
কুণাল আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সেনাপতি। তাঁদের গোটা বাংলা দেখতে হয়। ডায়মন্ড হারবার দেখবেন আপনারা। চব্বিশের ভোটে এখানে তাঁকে বিরাট ব্যবধানে জেতাতে হবে। আপনারা অনেক সুট, বুট পরা প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন। চব্বিশের ১৫ অগাস্ট এবার দিল্লিতে পতাকা তুলবেন তাঁতের শাড়ি ও হাওয়াই চটি পরা বাংলার ঘরের মেয়ে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই জেতাতে হবে। এ ছাড়াও সভায় ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক দুলাল দাস, যুব সভাপতি সুমোনাথ চৌধুরি, আবু তালেব প্রমুখ।