সংবাদদাতা, সিউড়ি : ‘‘দেউচা পাঁচামি কয়লাশিল্প নিয়ে কেউ ভুল বোঝাতে এলে আপনারা ফাঁদে পা দেবেন না। কোথাও কোনও সমস্যা হলে সরাসরি জেলাশাসককে জানান। প্রশাসনের তরফে সমস্তরকম সহযোগিতা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন কয়লাশিল্প হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন, সেদিনই তিনি বলে দিয়েছিলেন এলাকার মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তবেই দেউচা পাঁচামি কয়লাশিল্প গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন-ফের মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা যাত্রীর
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই জেলা প্রশাসনের তরফে খনি অঞ্চলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই জমি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে’’, বললেন রাজ্য গ্রামীণ পর্ষদ উন্নয়নের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার মহম্মদবাজার ব্লকের পূর্ব হাঁসদা সভাগৃহে প্রায় ১৩১ জন আদিবাসী মানুষের হাতে জমির পরচা তুলে দিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। প্রথম পর্যায়ে যে সরকারি খাসজমির উপর প্রস্তাবিত কয়লাশিল্প গড়ে উঠতে চলেছে, সেই এলাকার সাধারণ মানুষের কিছু জমিসংক্রান্ত সমস্যা ছিল। কিন্তু মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে ভূমি দফতরের ক্যাম্পে জমি সেগুলোর সমাধান করে পরচার কাজ শেষ করা হল। জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত কয়লাশিল্প অঞ্চলে খননকার্য দ্রুত গতিতেই চলছে। আশা করা যায়, অচিরেই ব্যাসল্টের সন্ধান পাওয়া যাবে। পাথর খননের পরেই কয়লা উত্তোলন সম্ভব হবে। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, এলাকার কোনও মানুষ বঞ্চিত হবেন না। জমিদাতাদের রাজ্য সরকারের তরফে থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি। পাশাপাশি তিনজনের হাতে জাতিগত শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় জরুরি ভিত্তিতে। এলাকার মানুষ খুশি। তাঁরা চান, তাড়াতাড়ি কয়লা উত্তোলন শুরু হোক।