প্রতিবেদন : বাংলা-বিরোধী বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে মঞ্চে এবার গর্জে উঠল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। বাংলাকে বাগে আনতে না পেরে বিজেপি যেভাবে বাংলার বিরুদ্ধে, বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, সোমবার তার তীব্র প্রতিবাদে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেসের যুব ব্রিগেড। তবে এদিনের সমাবেশের ছবিটা অন্যান্যদিনের চেয়ে কিছুটা আলাদা ছিল। এদিনই প্রথমবার সেমিস্টার পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এদিনের সমাবেশের বেশিরভাগ সময়েই মাইক বাজানো বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-এসএসসি নির্বিঘ্নে চক্রান্ত গদ্দারদের
সংগঠনের উত্তর কলকাতার যুব সভাপতি শান্তি কুন্ডু, দক্ষিণ কলকাতার যুব সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়দের নেতৃত্বে বেলা ১২টা থেকে এদিনের ধরনা কর্মসূচি চলে। যুব নেতারা একসুরে বলেন, বাংলা ও বাঙালির উপর বিভিন্ন জায়গায় অত্যাচার শুরু করেছে বিজেপি। কিন্তু এই অত্যাচার আজকে নতুন নয়। সর্বভারতীয় মিডিয়াগুলোর একাংশকে দেখবেন, ২০১৪ সালের পর থেকেই বাংলাকে সারা দেশের সামনে ছোট করে দেখানো হয়। বাংলার নামে ক্রমাগত কুৎসা-অপপ্রচার রটানো হয়। সেখানে দেখানো হয়, বাংলায় নাকি মানুষ থাকতেই পারে না। বাংলা নাকি বসবাসযোগ্য নয়। অথচ আমরা এখানে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে শান্তিতে বসবাস করি। ওরা এটা সহ্য করতে পারে না। আমাদের ভাষা আমাদের মা। তাই মাকে অপমান করলে বাঙালি চুপ করে বসে থাকবে না। আবার কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলা ও বাঙালিকে অপমান করতে, তৃণমূল কংগ্রেসকে কলঙ্কিত করতে বিজেপি অনেকরকম চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করছে। আর কোনও রাস্তা না পেয়ে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এসআইআর-এর নামে ভোটার তালিকা থেকে বাঙালিদের নাম কাটার চেষ্টা করছে। বলছে নাকি বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি! আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতো, একজন বাঙালিরও নাম কাটা হলে তৃণমূল কংগ্রেস আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে। লক্ষ লক্ষ বাঙালি দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে হাজির হয়ে কৈফিয়ত চাইবে! বক্তব্য রাখেন যুবনেতা সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।