কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পিছিয়ে ডবল ইঞ্জিন রাজ্য, এগিয়ে সেই বাংলাই

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিজেপি-রাজ্যগুলি মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে উচ্চশিক্ষায় ঋণ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ভরতুকি প্রকল্পে।

Must read

প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় প্রকল্পে উৎসাহই নেই ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট শিক্ষা মন্ত্রকের। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মসূচিতে ভরসা হারাচ্ছে অধিকাংশ ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিজেপি-রাজ্যগুলি মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে উচ্চশিক্ষায় ঋণ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ভরতুকি প্রকল্পে।

আরও পড়ুন-ইডেনে নাইটদের ম্যাচ নিয়ে জট

পিএম-ইউএসপি অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী উচ্চতর শিক্ষা প্রোৎসাহনের অন্তর্গত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মসূচি সিএসআইএস-এর মাধ্যমে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষায় বিশেষ সহযোগিতা করে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ারা সুযোগ পান। সংখ্যালঘু, বিশেষভাবে সক্ষম, তফসিলি জাতি বা উপজাতি, মহিলারা বিশেষ বিশেষ ক্যাটাগরিতে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পান উচ্চশিক্ষার জন্য।
শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্ট, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট আবেদন জমা পড়েছে ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪৭৫টি। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রথম তিনে রয়েছে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অবস্থান নিচের দিকে। শীর্ষে রয়েছে কর্নাটক। তাদের আবেদন ৬৮ হাজার ৬৫৭টি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুর আবেদন সংখ্যা ৬৭ হাজার ৪১৯টি। আর তৃতীয় স্থানে থাকা কেরলের আবেদন জমা পড়েছে ৬৪ হাজার ৪৩৪টি। পক্ষান্তরে বিজেপিশাসিত অসমের আবেদন দেড় হাজারেরও কম। ত্রিপুরায় মাত্র ৫৭৬টি আবেদন জমা পড়েছে। আর মোদি-রাজ্য গুজরাতে আবেদন চার হাজারের কিছু বেশি। হরিয়ানায় সাড়ে তিন হাজারও ছোঁয়নি সংখ্যাটা। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, সংখ্যার নিরিখে বহু পিছনে পড়ে রয়েছে ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলি। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ কিছুটা মুখরক্ষা করেছে বিজেপির। মহারাষ্ট্রে ৩৪ হাজার ৩৬৪টি এবং মধ্যপ্রদেশে ১৭ হাজার ৪৬৭টি আবেদন জমা পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আবেদনের সংখ্যা ৮ হাজার ৬৮৮টি। তার থেকেও বড় কথা, বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকারের নিজস্ব প্রকল্প রয়েছে উচ্চশিক্ষা খাতে। তারপরও তারা আবেদনে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির থেকে অনেক এগিয়ে।

Latest article