প্রতিবেদন : তুরস্কের ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের শান্তি আলোচনায় মস্কো সেনা ও সামরিক অভিযান কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতিকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এদিন বলেছেন, আলোচনা অবশ্যই ইতিবাচক হয়েছে। তবে রাশিয়া যে গোলাগুলি, ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া বন্ধ করেছে তা নয়। তাই রাশিয়ার প্রতিনিধিদের কথাবার্তা সম্পূর্ণ বিশ্বাস করার কোনও কারণ দেখছি না।
আরও পড়ুন-মুঠোর ম্যাচ হাতছাড়া নাইটদের
ইউক্রেনকে এক প্রায় একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছে আমেরিকা। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, কিয়েভের আশপাশ এলাকা থেকে রাশিয়া খুবই অল্প সংখ্যক সেনা সরিয়েছে। তার মানে এই নয় যে, ইউক্রেনের ঝুঁকির দিন শেষ। বরং ইউক্রেনকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। পেন্টাগনের দাবি, রাশিয়া সেনা কমানোর এই প্রতিশ্রুতি নতুন কোনও পরিকল্পনার অঙ্গ হতে পারে। আসলে রাশিয়া তাদের যুদ্ধের কৌশলে কিছু বদল আনতে চাইছে। পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি বলেছেন, কিয়েভের আশপাশ থেকে রাশিয়ার সেনা সরানোর প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করার কিছু নেই। বরং এক মাস যুদ্ধ চালানোর পরও ইউক্রেন দখল করতে না পেরে রাশিয়া সম্ভবত নতুন কোনও পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন-ভোটাভুটির আগেই ইস্তফা? অনাস্থা বড় শরিকের সেনাপ্রধানের দ্বারস্থ ইমরান খান
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোয়েন্দারা দাবি করছেন, রাশিয়া সম্ভবত কিয়েভ ও সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের বেশিরভাগ সেনাকে ডনবাস ও লুহানস্কেতে সরিয়ে নেবে। এটা তাদের নতুন কোনও পরিকল্পনা হতে পারে। সামরিক অভিযান কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও কিয়েভ-সহ বেশ কয়েকটি শহরে এদিনও নির্বিচারে বোমা, গুলি বর্ষণ করে চলেছে রুশ সেনা। এদিনের রুশ হামলায় বেশ কয়েকটি বহুতল ধ্বংস হয়েছে। মারিউপোল শহরে রেডক্রসের একটি বাড়ির উপরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।