ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মালগাড়ির, লাইনচ্যুত ২ কামরা, পাশে থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

সেটি ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সজোরে ধাক্কা মারে। তার ফলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।

Must read

সোমবার সাতসকালেই শিয়ালদাগামী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchanjangha Express) মালগাড়ির ধাক্কা। এর ফলে লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। যদিও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে যদিও কোনও মন্তব্য এখনও করা হয়নি। যে দুটি ডিভিশনের আওতায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস চলে অর্থাৎ পূর্ব রেল এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি। নির্ধারিত সময় মেনে আজ সকালে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছয় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝামাঝি এসে হঠাৎ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি চলে আসে। সেটি ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সজোরে ধাক্কা মারে। তার ফলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। মালগাড়ির লোকো পাইলট আশঙ্কাজনক অবস্থায় আটকে রয়েছে কেবিনে। তিনি মৃত বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-ভোট মিটতেই শুরু গেরুয়া রাজনীতি, দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে বাদ বাবরি মসজিদের নাম

ধাক্কার মাত্রা এতটাই ছিল যে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপরে একটি বগির অর্ধেক অংশ উঠে গিয়েছে। একটি বগি রেললাইনের পাশে উলটে পড়ে রয়েছে। দুটি বগির যা অবস্থা হয়েছে, তাতে অনেক যাত্রী আহত হতে পারেন বলে আপাতত মনে করা হচ্ছে। রেলের গাফিলতি যে চূড়ান্ত এই বিষয়ে সেই নিয়ে সন্দেহ নেই। আইসিএফ কোচগুলির অবস্থা শোচনীয়। সেই দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস চালানো হচ্ছে দিনের পর দিন। এর ফলেই ক্ষতির মাত্রা এতটা মারাত্মক বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ মানুষকে বাড়ি দেবে রাজ্য

এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া এলাকায় একটি মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে আমি হতবাক। ঘটনা বিশদে জানা যায় নি যদিও, তবু কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস একটি মালগাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়েছে বলে জানা গেছে। উদ্ধারকাজ ও সবরকম চিকিৎসা সহায়তার জন্য ডিএম, এসপি, চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স এবং বিপর্যয় দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ।’

 

Latest article