শালিমারে (Shalimar) ঢোকার মুখেই লাইনচ্যুত ডাউন সেকেন্দ্রাবাদ সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস (Down Secundrabad Express)। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের তরফে এই ঘটনার পর জানানো হয়েছে, নলপুর স্টেশনের কাছে ২২৮৫০ ডাউন সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সাপ্তাহিক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের তিনটি কোচ লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। লাইন থেকে ছিটকে গিয়েছে একটি পার্সেল ভ্যান এবং সামনের দিকে থাকা দুটি কামরা। একটা পার্সেল ভ্যান হলেও বাকি দুটি কামরায় যাত্রীরা থাকলেও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বড় কোনও আঘাতের খবর পাওয়া যায় নি। সেই দুর্ঘটনার ফলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বড় কোনও বিপদ না হলে ফের একবার রেলের পরিকাঠামো এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কীভাবে নলপুর স্টেশনে মাঝখানের লাইন থেকে ডাউন লাইনে চলে গেল ডাউন সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সাপ্তাহিক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, এই নিয়ে দ্বন্দে যাত্রীরা। রেলের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। দুর্ঘটনার আসল কারণ আপাতত অধরা।
আরও পড়ুন-বিয়ে কোনও সাজা নয়
সূত্রের খবর, আজ,ভোর ৫ টা ৩০ মিনিট নাগাদ প্রচণ্ড জোরে আওয়াজ হয়। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়রা দেখেন ট্রেনের তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। যাত্রীরাও জানিয়েছেন ভোরের দিকে খুব জোরে ঝাঁকুনি অনুভব করেন তারা। ট্রেনের গতি বেশি না থাকায় বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। পর পর এভাবে ট্রেন দুর্ঘটনায় রীতিমত শিউরে উঠছেন যাত্রীরা। প্রশ্ন উঠছে রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে। সাঁতরাগাছি ও খড়্গপুর থেকে দুর্ঘটনাস্থলে ‘অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন’ এবং ‘মেডিক্যাল রিলিফ ট্রেন’ পৌঁছে গিয়েছে। যাত্রীদের নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ১০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাইন মেরামত করে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।