প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদির শাসনে ভারতে রাজনৈতিক বিতর্কের স্থান সংকুচিত হয়েছে। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপরেও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। সরকারের কোনও রকম বিরোধিতা সহ্য করা হচ্ছে না। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকের সময় এই বিষয়গুলি উত্থাপন করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিলেন সে দেশের ৭৫ জন সেনেটর। বাইডেনকে আলাদা করে চিঠি দিয়ে একই কথা বলেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেসের প্রতিনিধিরাও। ওই চিঠিতে তাঁরা ভারতের সাম্প্রতিক শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বাইডেনকে দেওয়া ওই চিঠিতে তাঁরা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং সিভিল সোসাইটি সংগঠনের রিপোর্ট তুলে ধরে জানিয়েছেন, মোদি জমানায় ভারতে রাজনৈতিক বিতর্কের স্থান ক্রমশ সংকুচিত হয়েছে। দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সুশীল সমাজের সংগঠন এবং সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের উপরে বিধিনিষেধ ক্রমশ বাড়ছে। মোদির সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন যেন এই বিষয়গুলি উত্থাপন করেন। সেনেটররা স্পষ্ট বলেছেন, বন্ধুদের সৎ এবং স্পষ্টভাবে কথা বলা উচিত। তাই আমরা সম্মানের সঙ্গে অনুরোধ করছি, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিভিন্ন কূটনৈতিক বিষয় ছাড়াও আপনি মোদির সঙ্গে সরাসরি উদ্বেগের বিষয়গুলি নিয়েও কথা বলুন। মঙ্গলবার রাতে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে। বার্নি স্যান্ডার্স, এলিজাবেথ ওয়ারেন এবং টিম কেইন সহ ১৮ জন সেনেটর এবং প্রতিনিধি পরিষদের ৫৭ জন সদস্য চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। মার্কিন আইনসভার ১৪ শতাংশ সদস্য ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী বৈঠক পাটনায়, আজ মুখ্যমন্ত্রী-অভিষেক
মিশিগানের কংগ্রেস সদস্য রাশিদা তালাইব, সাফ জানিয়েছেন, তিনি বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ সভায় মোদির (Narendra Modi) ভাষণ বয়কট করবেন। রাশিদা অভিযোগ করেছেন, মোদির আমলে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। মুসলিম ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিশানা করা এমনকী সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের উপর সেন্সর করা হচ্ছে। এসবের কারণেই তিনি মোদির ভাষণ বয়কট করবেন।