টিএমসিপি থেকে সাসপেন্ড করা হল ডাঃ অভীক দে-কে

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর আর্থিক অনিয়মকেই বিশেষ প্রাধান্য দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

Must read

প্রতিবেদন : গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও তিন। সোমবার সন্ধ্যায় প্রথমে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপরে রাতের দিকে বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা ও আফসার আলি নামে ভেন্ডারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আরজি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার ২৬ দিন পর অবশেষে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা নয়, আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগেই সন্দীপ গ্রেফতার হয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর আর্থিক অনিয়মকেই বিশেষ প্রাধান্য দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নামে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে সিবিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ। আদালতের অনুমতি নিয়ে পলিগ্রাফ টেস্টও হয় সন্দীপের।

আরও পড়ুন-বিধানসভায় আজ অপরাজিতা বিল

সোমবার রাতে সল্টলেকের সিজিও থেকে তাঁকে কড়া নিরাপত্তায় নিয়ে আসা হয় নিজাম প্যালেসে। সোমবার রাতে ডাঃ অভিক দে-কে সাসপেন্ড করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, অভীকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছিল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সাসপেন্ড করা হল অভীক দে-কে। তাঁর সংযোজন, যদিও এই মুহূর্তে টিএমসিপির কোনও পদে ছিল না অভীক। ২০২১ সাল পর্যন্ত সে পদে ছিল। এদিন টিএমসিপির তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েও অভীকের সাসপেন্ডের কথা জানান হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ক্রাইম সিন সংক্রান্ত কিছু অভিযোগ রয়েছে অভীকের বিরুদ্ধে। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত টিএমসিপি সাসপেন্ড করল অভীক দে-কে।

Latest article