রুক্ষ জমিতে ড্রাগন-চাষে বিকল্প আয়ের পথ

এমএ পাস এই যুবক আয়ের নতুন সংস্থান খুঁজে পেয়েছেন। তাঁর এই সাফল্য কাহিনী জঙ্গলমহলে ড্রাগন ফলের চাষে উৎসাহ জোগাচ্ছে অনেককেই।

Must read

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর : খাতড়ার রুখাশুখা মাটি ও উষর ডাঙা জমির মাটিতেই ফলছে এবার ড্রাগন ফল। এই ফলের চাষ করে দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে বিকল্প আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন রাইপুর ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা রাহুল কর। এমএ পাস এই যুবক আয়ের নতুন সংস্থান খুঁজে পেয়েছেন। তাঁর এই সাফল্য কাহিনী জঙ্গলমহলে ড্রাগন ফলের চাষে উৎসাহ জোগাচ্ছে অনেককেই। পেশায় গৃহশিক্ষক রাহুল টিউশনির ফাঁকে বাড়ির চাষের কাজেও হাত লাগান। মূলত তাঁরই উদ্যোগে বাড়ির পাশে ফাঁকা খামারবাড়িতে গড়ে উঠেছে ড্রাগন ফলের বাগান। ফুলে ফলে ভরা ড্রাগনের এই বাগান দেখতে চারপাশের গ্রামের বাসিন্দারাও ভিড় জমাচ্ছেন।

আরও পড়ুন-রাজ্য জুড়ে পালিত খেলা হবে দিবস

প্রথাগত চাষ ছেড়ে খামারবাড়িতে ড্রাগন চাষ সম্পর্কে রাহুল বলেন, ‘জমিতে ধান বা সবজি চাষ করা হয়। কিন্তু বাড়ির পাশে খামারে ধানচাষ সম্ভব নয়। তাই রুক্ষ জমিতে বিকল্প ফসল চাষের পরিকল্পনা করি। বিকল্প আয়ের খোঁজে তাই পারিবারিক প্রায় ১২ কাঠার খামারবাড়ির রুক্ষ জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেছি। চাষের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেখে বাঁকুড়া থেকে ড্রাগন চারা নিয়ে আসি। স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতো শুরু করি চারার পরিচর্যা। ১২ কাঠা জমিতে ড্রাগন চারারোপণ, সার, মজুরি, গাছের জন্য প্রয়োজনীয় খুঁটি বা পিলার লাগানোর জন্য ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৩০০ চারা লাগানো হয়েছে। প্রতিটি পিলারের চারিদিকে চারটি করে চারা লাগানো হয়েছে। গাছ লাগানোর প্রায় দেড় বছর পর ফলন শুরু হয়েছে। বছরে ৪-৫ বার ফল তোলা যায়। গত দু’বছরে ড্রাগন বিক্রি করে খরচের টাকা ওঠে গিয়েছে। প্রথম বছরে বিঘা প্রতি ১২ কুইন্টাল ড্রাগন হলেও পরবর্তী বছরগুলিতে ফলন প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এবার লাভ হচ্ছে।’ খাতড়া মহকুমা-সহ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) শুভেন্দু হাজরা বলেন, ‘রুক্ষ জমিতে বিকল্প ফসল হিসাবে ড্রাগন ফলের চাষ কার্যকরী হবে। রাইপুরে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে এই ফল চাষ করে জঙ্গলমহলের চাষিরা লাভবান হবেন।’

Latest article