চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন নিয়ে দিনভর নাটক

Must read

প্রতিবেদন: রীতিমতো নাটক চলল চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনকে কেন্দ্র করে। বুধবার দুপুরে পাওয়া জামিন স্থগিত হয়ে গেল সন্ধেয়। আবার কিছুক্ষণ পরেই প্রবল সমালোচনা আর নিন্দার ঝড়ের মুখে পড়ে নিজের একতরফা রায় প্রত্যাহার করে নিলেন বিচারপতি। পরিকল্পনা করে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে (chinmoy krishna das)। বুধবার দুপুরে তাঁকে জামিন দেয় বাংলাদেশ হাইকোর্ট। তখনই আশঙ্কা করা হয়েছিল, জামিন রুখতে সক্রিয় হতে পারে বাংলাদেশ সরকার। আশঙ্কাই সত্যি হল। তড়িঘড়ি তাঁর জামিন আটকাতে বাংলাদেশ সরকার আর্জি জানায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে। সরকারি চাপে ভুয়ো রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় এই সন্ন্যাসীর জামিন স্থগিত করে দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রেজাউল হক। এই একতরফা রায়ের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ওঠে প্রবল নিন্দার ঝড়। তারপরেই পিছু হটেন বিচারপতি। তবে জামিনের নির্দেশ স্থগিত রাখার জন্য ইউনুস সরকারের আর্জি রবিবার শুনবেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। বুধবার হাইকোর্ট জামিনের মঞ্জুর করলেও আশঙ্কা করা হয়েছিল, সম্ভবত এখনই জেল থেকে বেরোতে পারবেন না ইসকনের এই সন্ন্যাসী। কারণ বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় চিন্ময়কৃষ্ণকে হেনস্থা করতে আগেও নানা পন্থা নিয়েছিল। হাইকোর্টে তাঁর জামিনের শুনানি আটকানোর চেষ্টা হয় বারবার। জামিনের পরে জেল মুক্তিতেও যে বাধা তৈরি করা হবে, তা বলাই বাহুল্য। বাস্তবেও তাই হল।

আরও পড়ুন- বিহার নির্বাচনের আগে ঝুঁকি না নিয়ে কেন্দ্র মানতে বাধ্য হল জাতিগণনার দাবি

হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পরে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও তার প্রতিবাদে মুখ বন্ধ করার রাজনীতি চলেছে, তার সর্বোচ্চ উদাহরণ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (chinmoy krishna das) গ্রেফতারি। নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে কোনওভাবেই যাতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মামলার শুনানি না হতে পারে লাগাতার তার চেষ্টা করে গিয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদী আইনজীবীদের একাংশ।

Latest article