প্রতিবেদন : দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সোমবার সকালে শপথগ্রহণ করলেন দ্রৌপদী মুর্মু৷ তিনি দেশের দ্বিতীয় মহিলা ও প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি৷ স্বাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া দ্রৌপদী এই মুহূর্তে দেশের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতি৷ এদিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা দ্রৌপদী মুর্মুকে শপথবাক্য পাঠ করান৷ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তৃণমূলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সৌগত রায়, জহর সরকার, সুখেন্দুশেখর রায়, আবু তাহের খান, অপরূপা পোদ্দার, সাজেদা আহমেদ, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, শান্তনু সেন, মৌসম বেনজির নূর, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
আরও পড়ুন-রামপুরহাটে পানীয় জল ও গণশৌচালয় ব্যবস্থা
ঘটনাচক্রে এদিন শপথ নেওয়ার পরেই জানা গেল নতুন রাষ্ট্রপতির আসল নাম দ্রৌপদী ছিল না৷ তাঁর স্কুলের এক শিক্ষক নাম রেখেছিলেন দ্রৌপদী৷ স্কুলে পড়ার সময় সাঁওতালি ভাষায় তাঁর নাম ছিল পুটি৷ স্কুলে আসার পর তাঁরই এক শিক্ষক ওই নাম বদলে দ্রৌপদী নাম দেন৷ ওড়িশার এক ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সাঁওতালি সংস্কৃতিতে সব নামই প্রবহমান৷ পরিবারে যখন একটি মেয়ে জন্মগ্রহণ করে সে তার ঠাকুরমার নাম নেয়৷ আবার যখন ছেলের জন্ম হয় তার নামকরণ করা হয় দাদুর নামে৷ রাষ্ট্রপতি তাঁর নতুন নামকরণ সম্পর্কে বলেন, আমার একাধিকবার বদল হয়েছে৷ প্রথম দিকে তাঁর নামের উচ্চারণ ছিল দূরপদি৷ পরে তা বদলে হয় দৌরপদি৷ শেষমেশ নাম হয় দ্রৌপদী৷ প্রথমে পদবি ছিল টুডু, বিবাহসূত্রে হন দ্রৌপদী মুর্মু৷