প্রতিবেদন : শেষ ন’ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট। লড়াকু ফুটবলে হারের ডাবল হ্যাটট্রিক আটকে অবশেষে ঘরের মাঠে পয়েন্ট পেল মহামেডান। কিশোরভারতীতে লিগ টেবলে চার নম্বরে থাকা ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর স্বস্তির ড্র সাদা-কালো ব্রিগেডের। জয়ের মুখ দেখতে না পারায় ১৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বছর শেষেও আইএসএল টেবলে ‘লাস্ট বয়’ হয়েই রইল মহামেডান। ম্যাচের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পেতে পারত আন্দ্রে চেরনিশভের দল। মাকন ছোটেকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা সত্ত্বেও রেফারি পেনাল্টি দেননি।
আরও পড়ুন-বাঘিনি জিনাতের অবস্থান জানতে আনা হল হাই ফ্রিকোয়েন্সি অ্যান্টেনা
ওড়িশা এফসি-র তারকা কোচ সার্জিও লোবেরা এদিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে ডাগ আউটে ছিলেন না। হেড কোচহীন দিয়েগো মরিসিওরা উজ্জীবিত মহামেডানকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি। ভাঙাচোরা মহামেডান রক্ষণকে ভরসা দিলেন ফ্লোরেন্ট ওগিয়ের, জোডিংলিয়ানারা।
আহমেদ জাহু ছিলেন না। দাপুটে প্লে-মেকারের অভাব টের পেয়েছে ওড়িশা। মহামেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ টানা হার আটকাতে রক্ষণ সামলে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলতে চেয়েছিলেন। মিরজালোল কাসিমভ এবং মহম্মদ ইরশাদকে ডিফেন্সিভ ব্লকার করে দেওয়ার ফল পেল দল। ফাইনাল থার্ডে বারবার খেই হারিয়ে ফেললেও অভিষেক আইএসএলে দ্বিতীয় জয়ও পেতে পারত মহামেডান। প্রথমার্ধে কয়েকটি কর্নার আদায় করলেও তা থেকে ফায়দা তুলতে পারেনি মহামেডান।
মহামেডান কোচ চোট পাওয়া কার্লোস ফ্রাঙ্কাকে তুলে সিজার মানজোকিকে নামিয়ে আক্রমণে ঝাঁজ বাড়াতে চাইলেও তাতে সফল হননি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সচল দেখিয়েছে মহামেডানকে। অ্যালেক্সিস, কাসিমভরা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। অ্যালেক্সিসের একটি দুরপাল্লার বুলেট শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। মানজোকির হেড দুর্দান্ত সেভ করেন ওড়িশার গোলকিপার অমরিন্দর সিং। শেষ দিকে কাসিমভের শটও বাঁচান ওড়িশা গোলকিপার।