প্রতিবেদন : দোল বা হোলিতে রাজ্যে যেকোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে বিশেষ তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। স্পর্শকাতর প্রতিটি জায়গায় সুনিশ্চিত করা হচ্ছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। কিন্তু এরই মধ্যে একটি গোপন সূত্রের খবর ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে। হোলির আনন্দের মাঝেই হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল, মালদহ সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনে ড্রোন-হামলা চালানোর চক্রান্ত করছে জঙ্গিরা। নেপথ্যে পিএফআই এবং সিমি। বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন (Drone Attack) দিয়ে টার্গেটে আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে তারা। শুধু বাংলা নয়, জঙ্গিরা টার্গেট করতে পারে অন্যান্য রাজ্যের অতিব্যস্ত স্টেশন, বিমানবন্দর, এমনকী রাজভবনও। ওই বিস্ফোরক নাকি তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের বেগুসরাইয়ের এক নামী পলিটেকনিক কলেজের ল্যাবে। ড্রোনের (Drone Attack) নকশা জোগাড় করা হয়েছে পাটনার এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে। সতর্কবার্তা পেয়েই জি আর পিকে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কলকাতা মহানগরী সহ গোটা রাজ্যে (West bengal) আরও আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সমন্বয় বাড়াচ্ছে কলকাতা (Kolkata) ও রাজ্য পুলিশ। কড়া নজর রাখা হচ্ছে ড্রোনের মতো যে কোনও রকম সন্দেহজনক যন্ত্রের গতিবিধির উপর।
আরও পড়ুন: মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ ওসি সৌভিক চক্রবর্তীর
জঙ্গি নাশকতার চক্রান্তের কথা প্রথম জানা যায় ১ মার্চ। এই মর্মে একটি চিঠি পান বারাণসি বিমানবন্দরের অধিকর্তা। গোয়েন্দা সূত্রেও একই খবর মেলে। সেই চিঠির সূত্র ধরে ডি আর এমদের কাছে সতর্কবার্তা পাঠান আইজি রেল তথা পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ সিকিউরিটি কমিশনার পরমশিব। জঙ্গি হামলা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। অত্যাধুনিক অস্ত্রধারী অতিরিক্ত আর পি এফ ইতিমধ্যেই নামানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ড্রোনের মতো সন্দেহজনক কিছু দেখলেই গুলি করে নামানো হবে। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ ইতিমধ্যেই জরুরি বৈঠক করেছে দোলে শান্তি নিশ্চিত করতে। এবার জঙ্গি নাশকতা রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ করছে তারা।