সুস্মিতা মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার : আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের পুণ্যস্নান নিয়ে অভিনব ভাবনা জেলা প্রশাসনের। ব্যবহার করা হবে ড্রোন। ২০টি ড্রোনের মাধ্যমে সমবেত পুণ্যার্থীদের মাথায় ছিটিয়ে দেওয়া হবে পবিত্র গঙ্গাজল। জেলা প্রশাসন সাগরমেলার মাঠের পাশাপাশি কচুবেড়িয়া, বাবুঘাট, লট নং আট ও চেমাগুড়িতেও ড্রোনের মাধ্যমে পুণ্যার্থীদের পুণ্যস্নানের তৃপ্তি দিতে চায়। সাগরের জল ড্রামভর্তি করে কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তা ড্রোনে তোলা হবে। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ওজন বহনকারী ড্রোন জোগাড় করেছে জেলা প্রশাসন। করোনার জন্য গত বছর কলকাতা হাইকোর্ট একাধিক পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন : বিজেপির ধরনামঞ্চে গোবরজল
সাগরস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, ই-স্নানের ওপর জোর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বাড়িতে বসে অর্ডার করে মিলেছিল পবিত্র গঙ্গাজল। চলতি বছরেও করোনার প্রভাব চলছে। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে পুণ্যার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়বে বলে অনুমান। সেক্ষেত্রে সাগরস্নানের ভিড় কমাতে চাইছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া বাবুঘাট থেকে মেলায় আসার প্রতিটি এলাকার বাসিন্দাদের একশো শতাংশ টিকার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সে-কাজও চলছে জোরকদমে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করবে প্রশাসন। ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মেলা। চলবে ১৫ জানুয়ারি। জেলাশাসক পি উলগানাথন জানান, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ড্রোনের মাধ্যমে পুণ্যস্নানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার মাঠ-সহ পাঁচটি এলাকায় এই ড্রোন থাকবে। ই-স্নান ও ই-প্রসাদের ব্যবস্থাও থাকছে। জেলা প্রশাসনের সাগরমেলার অ্যাপে গিয়ে অর্ডার দিতে হবে।