প্রতিবেদন : কোভিড সংক্রমণ রুখতে এবারে অভিনব আয়োজন গঙ্গাসাগরে। ড্রোনের মাধ্যমে পুণ্যার্থীদের স্নানের ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এরজন্য ২০টি ড্রোন প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। করোনা আবহেই আগামী মাসে ফের একবার গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি আশঙ্কার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে ওমিক্রনের আতঙ্ক। এই অবস্থায় মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকানোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন-দেখবেন প্রস্তুতি, করবেন প্রশাসনিক বৈঠকও, ২৯শে গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী
এই কথা মাথায় রেখেই এবার একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এবার পুণ্যার্থীদের কোভিড পরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। করোনাজনিত বিধি-নিষেধের কারণে গতবার গঙ্গাসাগরে ভিড় বেশি হয়নি। তবে এবার কুম্ভমেলা না হওয়ায় এ বছরের মেলায় ৩০ লক্ষ মানুষের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন জেলার প্রশাসনের কর্তারা। তাই মেলার কোথাও যাতে সমস্যা বা বিপত্তি যাতে না হয় তার জন্যই বাড়তি নজরদারি। আর সবটাই নজরদারি চালাবেন মুখ্যমন্ত্রী ও নবান্নের শীর্ষ কর্তারা।
আরও পড়ুন-রাজ্যকে বঞ্চনার কেন্দ্রীয় নীতি
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। গতবার করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্তের কারণে সংক্রমণের আশঙ্কায় ই-স্নানের ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সে ব্যবস্থা এবারও চালু থাকছে। এবার করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে রয়েছে ওমিক্রনের আতঙ্ক। এর জন্য হাসপাতালগুলোতে বাড়ানো হয়েছে কোভিড বেড। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আউট্রাম ঘাট আর গঙ্গাসাগর দ্বীপের মধ্যে ১৩টি হাসপাতালে কোভিড বেড গড়ে তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বেআইনি শ্রমিক নিয়োগ নয়
এছাড়াও অতিরিক্ত অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সব মিলিয়ে ১০০টি অ্যাম্বুল্যান্স থাকছে পুণ্যার্থীদের জন্য। এর মধ্যে শুধুমাত্র কোভিড রোগীদের জন্য থাকছে ২৫টি অ্যাম্বুল্যান্স। পাশাপাশি, তিনটি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স এবং একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সবমিলিয়ে হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার ৯৯২টি বেডের ব্যবস্থা থাকছে। এর মধ্যে বাচ্চাদের জন্য থাকছে ৯২টি বেড। কাকদ্বীপ ও রুদ্রনগর হাসপাতালেও কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা করা হবে। প্রসঙ্গত, এবার ড্রোনের মাধ্যমে পুণ্যার্থীদের স্নানের ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর জন্য ২০টি ড্রোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ড্রোন একসঙ্গে ১৫০ থেকে ২০০ জন পুণ্যার্থীকে স্নান করাতে পারবে। নির্দিষ্ট জায়গায় পুণ্যার্থীদের জড়ো করে তাঁদের উপর জল ছেটানো হবে।