সংবাদদাতা, দিঘা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘার সৌন্দর্যায়ন-সহ পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়ে বরাবরই বেশ তৎপর। সম্প্রতি সৈকতে কিছু দোকানদারের জবরদখল করে ব্যবসার জন্য পর্যটকদের দুর্ভোগ বাড়ছিল। প্লাস্টিকের ব্যবহারে বাড়ছিল দূষণও। এ-সবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। যশের তাণ্ডবে দিঘার সৈকতসরণি লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নির্দেশে ১৩ কোটি টাকা খরচে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) যতবারই দিঘা সফরে এসেছেন, বলেছেন, ‘সৈকতসরণি তৈরি করা হয়েছে, পর্যটকদের সমুদ্র উপভোগ করতে করতে হাঁটাচলার জন্য। তাই সৈকতসরণি দখল করে কোনওরকম ব্যবসা করা যাবে না।’ ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনও দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা ও নজরদারি উপেক্ষা করে স্থানীয় কয়েকজন শহিদ জননীর পাশে গায়ের জোরে দোকান খুলে বসছেন। পর্যটকদের চলাচলে যেমন অসুবিধা হচ্ছে, সৈকতের সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে। বাড়ছে দেদার প্লাস্টিকের ব্যবহার। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ) প্রথমে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য মাইকে প্রচার শুরু করেছে। পর্ষদের প্রশাসক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, “সৈকতসরণি দখলমুক্ত রাখতে দিনভর নজরদারি চালাবে ব্ল্যাক ফোর্স। তারপরও কেউ দখল নেওয়ার চেষ্টা করলে দোকানের মালপত্র বাজেয়াপ্ত করা হবে। প্লাস্টিক ব্যবহারে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য হয়েছে।’’