কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর : রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে নবম থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে মুর্শিদাবাদের মতো আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা বেশ কিছু জেলাতে স্কুল শুরু হওয়ার পরও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি তেমনভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে ছাত্রছাত্রীর অভাবে প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষকেরা এক বা একাধিক ক্লাস নিতে পারছেন না। এই সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ‘আশা’ এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরকে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে খোঁজ নেবে, কেন তারা স্কুলে আসছে না।
আরও পড়ুন : সংসদে সরব শতাব্দী, সক্রিয় প্রশাসন
এরই মাঝে শুক্রবার অভিনব উদ্যোগ নিলেন সামশেরগঞ্জের বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডা। অন্যের ভরসায় বসে না থেকে সামশেরগঞ্জের চাচন্ড বি জে হাইস্কুল, বাসুদেবপুর হাইস্কুল, জালাদিপুর হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরকে নিয়ে নিজেই বেরিয়ে পড়লেন ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে। কথা বললেন পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সঙ্গে। জানার চেষ্টা করলেন, কেন ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাচ্ছে না। কৃষ্ণচন্দ্র বলেন, ‘১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্য সরকারের নির্দেশে স্কুলে ক্লাস শুরু হলেও দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় প্রচুর ছাত্র পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকেই অন্য রাজ্যে। ফলে স্কুলে আসতে পারছে না। এ ছাড়া গ্রামে ঘুরতে গিয়ে জানতে পারলাম, দীর্ঘ লকডাউন কালে অনেক বাবা-মা নাবালিকা মেয়ের বিয়েও দিয়ে দিয়েছেন।’ বিডিও ও শিক্ষকরা বাড়িতে হাজির হতে অনেক অভিভাবকই ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে রাজি হয়েছেন।