ব্যুরো রিপোর্ট : বুধবার পাহাড় থেকে সাগর, গোটা রাজ্যে পরীক্ষামুলকভাবে শুরু হল দুয়ারে রেশন প্রকল্পের পাইলট প্রোজেক্ট। বাছাই করা এলাকায় উপভোক্তাদের দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে এই প্রকল্পে।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিক পাহাড় থেকে সমতলের শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর, মাথাভাঙা, মালদহ, রায়গঞ্জ সমতলের সর্বত্র তালিকাভুক্ত রেশন ডিলারদের সঙ্গে নিয়ে সকালেই সরকারি আধিকারিকরা রেশন সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান এলাকায়। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সকলের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন সামগ্রী। সেইমতো তাঁর সরকার চালু করে দিল বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ। বিভিন্ন এলাকায় আগেই প্রচার করে প্রশাসন জানায়, মঙ্গল থেকে শুক্রবার প্রত্যেক ডিজিটাল রেশন কার্ডধারী গ্রাহকের বাড়ি রেশন পৌঁছে দেবেন ডিলাররা। কেউ না পেলে শনি ও রবিবার রেশন দোকানে গিয়ে তুলতে পারবেন।
আরও পড়ুন :ওয়েবসাইট হ্যাক, অ্যাডমিট ছাড়াই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের
জঙ্গল, পাহাড় থেকে সমতল, উপকূলবর্তী এলাকায় একইভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে পরিষেবা। পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল, পাহাড়, শহর থেকে বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র ব্লক, পুরসভা ও গ্রামাঞ্চলে পাইলট প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত ডিলাররা গাড়িতে রেশন সামগ্রী, দাঁড়িপাল্লা, ই-পস মেশিন নিয়ে সকালেই পৌঁছে যান কোথাও মন্ত্রী, কোথাও জেলাশাসক, বিডিও, পঞ্চায়েত বা প্রশাসনের কর্তাদের নেতৃত্বে। মানুষকে বুঝিয়ে দেন কীভাবে রেশন নিতে হবে। দরজায় দাঁড়িয়ে রেশন পেয়ে খুশি উপভোক্তারা। কোথাও কোথাও এলাকার বিধায়করাও সূচনাপর্বে যোগ দেন।
আরও পড়ুন :ওয়েবসাইট হ্যাক, অ্যাডমিট ছাড়াই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের
খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জোৎস্না মান্ডির উপস্থিতিতে বেলপাহাড়ির দুর্গম গ্রাম আমলাশোলে রেশন পৌঁছে দেওয়া হয়। বাম আমলে অনাহারে প্রায় ১১ জন মারা যান এই গ্রামে। তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। সেখানেও রেশন পৌঁছতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কোথাও কোথাও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় অসুবিধা হলেও গোটা রাজ্যেই সফলভাবে চালু হয়েছে এই কর্মসূচি। বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ গোটা রাজ্যেই দেওয়া হয়েছে রেশন।