শিবির থেকে ৩৭টি পরিষেবা, নবম দুয়ারে সরকার রাজ্যে ব্যাপক সাড়া

Must read

প্রতিবেদন : মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই কারণেই যাঁরা এখনও পর্যন্ত সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা পাননি তাঁদের জন্য আজ থেকে ফের চালু হল দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar)। চলবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শিবিরে মোট ৩৭টি প্রকল্পের সুবিধার জন্য আবেদন করা যাবে। রবিবার ও সরকারি কোনও ছুটির দিনে শিবির বন্ধ রাখা হবে। তবে আঞ্চলিক ছুটিতে কোথাও কোথাও শিবির বসবে। নবান্নের তরফে জানানা হয়েছে, এবার দুয়ারে সরকারে জোর দেওয়া হবে যাঁরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত তাঁদের ওপর। যাঁদের সমস্যা হচ্ছে যাতে দ্রুত সমাধান হয় তাও দেখা হবে। প্রত্যেক জেলার জেলাশাসককে রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে এই নিয়ে গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকা, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা অথবা দ্বীপ এলাকায় পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষজনকে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করতে এবং তাঁদের সুবিধা পাইয়ে দিতে সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে তা নিয়ে প্রচার করতে হবে। যে বিশাল সংখ্যক মানুষ প্রত্যেকদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলিতে আসবেন, সেগুলির ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন করে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এবার মূলত দুটি ধাপে দুয়ারে সরকারের কর্মসূচি চলবে।

আরও পড়ুন- আরপিএফের হকার নিগ্রহ, প্রতিবাদে এনজেপি অভিযানের ডাক ঋতব্রতর

প্রথম পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরাসরি পরিষেবা দেওয়া হবে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে চালু হওয়া ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির এটা নবম সংস্করণ। দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পেতে কাউকে যেন একপয়সাও দেওয়া না হয়। যদি এই সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ টাকা চায় তা হলে সরাসরি স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে। সেখানে কাজ না হলে, মুখ্যমন্ত্রীর যে হেল্পলাইন নম্বর আছে সেখানে ফোন করে অভিযোগ জানাতে। অর্থাৎ সরকারি পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম কারচুপি তিনি বরদাস্ত করবেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

Latest article