তৃতীয়বার বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচি। গত ১৬ আগস্ট থেকে একমাস ধরে এই কর্মসূচির বিভিন্ন প্রকল্পে ৩ কোটি ৫৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ যোগদান করেছেন। রাজ্যবাসীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই শিবিরে যোগদান করার জন্য।
আরও পড়ুন- গ্রামীণ হাসপাতালে ৭০ লক্ষ টাকায় বসছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথমবার শুরু হয় এই প্রকল্প। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, জয় জোহার সহ অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় এই শিবিরে। শিবিরের প্রথম দফায় সবথেকে বেশি চর্চিত প্রকল্প ছিল স্বাস্থসাথী কার্ড। এই বছর আগস্ট মাসে শুরু হওয়া শিবিরের দ্বিতীয় দফায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন ছিল ৬৫ লক্ষেরও বেশি। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার ব্যাপারে মানুষের উৎসাহ লক্ষণীয়। এখনও অবধি প্রায় ২ কোটির কাছাকাছি মহিলারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। প্রথম দিন থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্প ঘিরে মানুষের উত্তেজনা লক্ষণীয়। খাদ্য সাথী প্রকল্পে আবেদন ছিল ২৭ লক্ষেরও বেশি। রাজ্যজুড়ে সবমিলিয়ে “দুয়ারে সরকার” শিবিরের সংখ্যা ছিল ৯১,৮৬৮।
আরও পড়ুন- পাহাড় থেকে সাগর পৌঁছল দুয়ারে রেশন
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের মুখেই শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক বলে ধরছে রাজনৈতিক মহল।