প্রতিবেদন : পূর্ব বর্ধমানে এবার প্রায় ৩ লক্ষ ৮১ হাজার হেক্টর জমিতে ধানচাষ হওয়ার কথা। কিন্তু আষাঢ় শেষ হতে চললেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৭১৩ হেক্টর জমিতে বীজ রোপণ করা গিয়েছে। তাও জামালপুর, মেমারির কিছু জমিতে সাবমার্সিবল পাম্পের জল দিয়ে। এই এলাকায় আলুচাষ হয়। সময়ে বীজ রোপণ করা না গেলে আলুর চাষও পিছিয়ে যাবে। এই এলাকার চাষিরা বৃষ্টির ওপর ভরসা না করে পাম্পের মাধ্যমে মাটির নিচ থেকে জল তুলে চাষের কাজে নেমে পড়েছেন। কিন্তু গলসি, খণ্ডঘোষ, রায়না, আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট বা কেতুগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় এরকম সেচের সুযোগ না থাকায় বীজতলা বাঁচানোই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলের অভাবে বীজও বড় হয়নি।
আরও পড়ুন-তালিকা তৈরি করে হকারদের পুনর্বাসন দেবে জেলা প্রশাসন, কাজে নেমে পড়ল পুরসভা
পুকুরের জল নিয়ে কোনওভাবে বীজতলা বাঁচানোর চেষ্টা চলছে কোথাও কোথাও। অনেক জমি বা বীজতলার কাছে কোনও পুকুর বা ক্যানেল না থাকায় বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চাষিদের বক্তব্য, আগে আষাঢ়ের মাঝামাঝি ধান রোপণ শুরু হয়ে যেত। শ্রাবণের মাঝামাঝি শেষও হয়ে যেত। এখন চাষ শুরু করতেই শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহ গড়িয়ে যাচ্ছে। দেরিতে চাষ হলে ধানের ফলন কমবে। পূর্ব বর্ধমানে ধানের ফলন বেশি না হলে গোটা রাজ্যে তার প্রভাব পড়ে। চাষিদেরও পথে বসতে হয়। এখন তাই কয়েক দিনের মধ্যেই ভারী বৃষ্টির প্রার্থনা করে চলেছেন জেলার কৃষকরা। তবে সেচ দফতর সূত্রে খবর, জুলাইয়ের শেষে কথামতো ডিভিসি জল ছাড়লে কিছু এলাকার কৃষকদের উপকার হবে। এছাড়া বিকল্প চাষের প্রশিক্ষণের কথাও ভাবা হচ্ছে।