নয়াদিল্লি : গম রফতানি বৃদ্ধির পরিকল্পনা ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা র মধ্যে নজিরবিহীনভাবে সম্পূর্ণ উল্টো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার। একদিকে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে উৎপাদনে ঘাটতি। জোড়া ফলায় চাপে কেন্দ্র। তাই অভ্যন্তরীণভাবে ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে অবিলম্বে গমের রফতানি নিষিদ্ধ করল ভারত।
আরও পড়ুন-রাম-সীতা ইস্যুতে অবান্তর মামলায় কুণালের বিরুদ্ধে চার্জশিট ত্রিপুরা পুলিশের
সরকার এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) দ্বারা জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৩ মে বা তার আগে লেটার অফ ক্রেডিট (এলওসি) জারি করা হয়েছে এমন চালানগুলিরই শুধুমাত্র রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে। মার্চ মাসে তাপপ্রবাহের কারণে বিপুল ফসলের ক্ষতির পরে গম রফতানি নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ করল সরকার। এছাড়া, এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ৭.৭৯ শতাংশে উন্নীত হওয়ার জন্য অর্থনৈতিক চাপ প্রবল। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সরকার ভারত থেকে গম রফতানি বাড়ানোর সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য মরক্কো, তিউনিসিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, আলজেরিয়া এবং লেবাননে বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠাবে৷ ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে বিশ্বব্যাপী শস্যের জন্য ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যে ভারত রেকর্ড ১০ কোটি টন গম উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে৷ এরপর ডিজিএফটি বলেছে, গমের রফতানি অবিলম্বে কার্যকরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চিনের পরে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ। এ বছর গমের উৎপাদন অনুমান করা হয়েছে ৯.৫ কোটি টন, সরকারের অনুমান ছিল ১০.৫ কোটি টন। অর্থাৎ সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে প্রায় এক কোটি টন কম গম উৎপাদন হতে পারে। গমের দাম বাড়ানোর কারণে আটার দামও বেড়েছে বিভিন্ন রাজ্যে ।