কর্মবিরতির জের : রক্তক্ষরণ, বিনা চিকিৎসায় আরজি করে মৃত্যু যুবকের

কোন্নগরের ২৮ বছরের তরতাজা যুবক বিক্রম ভট্টাচার্যের পায়ের উপর দিয়ে লরি চলে যায়। শ্রীরামপুরের একটি হাসপাতালে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়।

Must read

প্রতিবেদন : দুর্ভাগ্যজনক বললেও একে কম বলা হয়। যে আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের বিচার চেয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি চালাচ্ছেন, পথে নামছেন এবার সেই আরজি করেই তাঁদের চোখের সামনে পড়ে থেকে মারা গেলেন ২৮ বছরের তরতাজা যুবক বিক্রম ভট্টাচার্য। ঘটনাস্থল সেই আরজি কর। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের মতো সন্তানহারা হলেন আর-এক অসহায় বাবা-মা। তিন ঘণ্টা ধরে হাতে-পায়ে ধরেও আরজি করের এমার্জেন্সিতে পড়ে থাকা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ছেলের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পেরে অসহায় মা চোখের সামনে তাঁর ছেলেকে মারা যেতে দেখলেন। এরপর আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। হাউহাউ করে কেঁদে আছড়ে পড়েন ট্রলিতে থাকা ছেলের নিথর দেহের উপর। এর বিচার কে চাইবে? কেই বা দেবে? নির্যাতিতার বিচার সকলেই চাইছেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে গত ২৪ দিনে এভাবে অলক্ষ্যে মারা গিয়েছেন একাধিক অসহায় রোগী। হাহাকার করছেন তাঁদের পরিবার-পরিজন। এর বিচার কে দেবে? এঁদের হয়ে কারা পথে নামবে?

আরও পড়ুন-বোসের নোংরা রাজনীতি, পাল্টা দিলেন অধ্যক্ষ

কোন্নগরের ২৮ বছরের তরতাজা যুবক বিক্রম ভট্টাচার্যের পায়ের উপর দিয়ে লরি চলে যায়। শ্রীরামপুরের একটি হাসপাতালে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় রেফার করা হয় আরজি করে। সেখানে গিয়েই বিপাকে পড়েন রোগীর পরিবারেরা। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এমার্জেন্সির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে থাকলেও কোনও ডাক্তার তাঁর চিকিৎসা করেননি, ভর্তি তো দূরের কথা! হাসপাতালের তরফে বলে দেওয়া হয় ডাক্তার নেই। রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু লাগাতার রক্তক্ষরণে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ওই যুবক। শুক্রবার বিকেলে এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলন চলতে থাকুক। আর্জি পরিবারের লোকেদের

Latest article