ডুপ্লিকেট এপিকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র, কমিশনকে দূষে বাতিলের দাবি তৃণমূলের

এছাড়াও, এটি একটি স্থায়ী অনন্য পরিচয়পত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ঘটনা নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশনের মুখোশ খুলে দিল তৃণমূল। কমিশন ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড নিয়ে ভুল স্বীকার করতে নারাজ। তৃণমূল ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল ভুল স্বীকারের জন্য, কিন্তু নির্বাচন কমিশন শুধু আই-ওয়াশেই ব্যস্ত থাকায় এবার ডুপ্লিকেট এপিক বাতিলের দাবি তুলল। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেল এক্স হ্যান্ডেলে নির্বাচন কমিশনের মুখোশ খুলে দিলেন। কড়া বার্তা সাংসদ সাগরিকা ঘোষেরও।
প্রথমত, ভোটার আইডি কার্ডগুলিকে এপিক বলা হয়। এখন একই এপিক নম্বর ইস্যু করে সাফাই গাইছে তারা। তাদের দাবি, আলফা নিউমেরিক সিরিজ ব্যবহার করার কারণে নির্দিষ্ট রাজ্যে একাধিক ভোটারদের জন্য একই নম্বরের এপিক ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু এপিক কার্ড নম্বর তিনটি অক্ষর এবং সাত সংখ্যার একটি ক্রম। তা প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য আলাদা। তাই দুটি ভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের জন্য একই হওয়া অসম্ভব৷

আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীর বারাণসীতে পুলিশের কীর্তি, থানার মধ্যে অমানবিক অত্যাচারের শিকার ছাত্র

দ্বিতীয়ত কমিশন জানিয়েছে, দুজনের একই এপিক নম্বর হলেও তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভোট দিতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু একই এপিক নম্বর বাংলার একজন ভোটার এবং অন্য রাজ্যের একজন ব্যক্তিকে বরাদ্দ করা হলে ছবির অমিলের কারণে ভোট বাতিল হতে পারে। অ-বিজেপি ভোট বাতিলের বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এটা। তৃতীয়ত নির্বাচন কমিশনের দাবি ছিল, আলফা নিউমেরিক কোডের সদৃশ্যতার কারণে একই এপিক নম্বর বিভিন্ন ভোটারের নামে ইস্যু হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ীই এপিক তৈরির জন্য ব্যবহৃত সফ্টওয়্যারগুলি একটি ট্র্যাক রাখে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে একই এপিক একাধিক ব্যক্তিকে বরাদ্দ করা না হয়। এছাড়াও, এটি একটি স্থায়ী অনন্য পরিচয়পত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ঘটনা নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

Latest article