প্রতিবেদন : রবিবাসরীয় ডুরান্ড কাপের ডার্বি নিয়ে উত্তেজনার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। একদিকে টিকিটের চাহিদা আকাশছোঁয়া, অন্যদিকে দুই প্রধানই ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে রণকৌশল ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় রুদ্ধদ্বার অনুশীলনে ব্যস্ত থাকল। অল্টিন আসিরের বিরুদ্ধে এসিএল টু-র ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের ছন্নছাড়া রক্ষণ দুশ্চিন্তা বাড়ালেও শুক্রবার সন্ধ্যায় আনোয়ার আলি অনুশীলনে নেমে পড়ায় স্বস্তি লাল-হলুদ শিবিরে। সমর্থকরাও খুশি আনোয়ার মাঠে নেমে পড়ায়। বিতর্কিত সইয়ের পর জাতীয় দলের ডিফেন্ডারকে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত খেলাবেন কি না, তা অবশ্য তিনিই ঠিক করবেন। ২২ অগাস্টের পর আনোয়ারের ভাগ্যলিপি কোন দিকে যাবে, তা জানার অপেক্ষায় সবাই।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল প্রকল্পে বাড়ল গতি, প্রথম পর্যায়ে ৩৫৯০ বাড়ি সংযোগ
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে অনেক পরে অনুশীলন শুরু করলেও নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে মোহনবাগানও। একটাই চিন্তা, বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেনকে সম্ভবত ডার্বিতে পাবে না সবুজ-মেরুন। কাঁধের চোট সারিয়ে এখনও ফিট হতে পারেননি অস্ট্রেলীয় তারকা। শুক্রবারও রিহ্যাবে ছিলেন, মাঠে দীর্ঘক্ষণ সাইক্লিং করেন। বাকি দেড় দিনে ম্যাকলারেনের ফিটনেসের উন্নতির দিকে নজর থাকবে কোচ মোলিনার। ডার্বির আগে ডুরান্ডের শেষ ম্যাচে সেরা দল নামিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা দলকে ঝাড়া ৬ গোল দিয়েছে জোসে মোলিনার দল। জেসন কামিন্স জোড়া গোল করার পাশাপাশি গোল পেয়েছেন লিস্টন কোলাসো, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, অনিরুদ্ধ থাপারাও। ডিফেন্ডার টপ অলড্রেডও গোল করেছেন। ডার্বিতে ফিরছেন গত দুই মরশুমে সবুজ-মেরুন জনতার হার্টথ্রব হয়ে ওঠা দিমিত্রি পেত্রাতোসও। ফলে আরও শক্তিশালী হয়েই ডার্বিতে নামছে মোলিনার মোহনবাগান। এদিন দিমিত্রিদের অনুশীলন দেখলেন বহু ডার্বির নায়ক ডগলাস।
দুই প্রধান দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেলেও আগের ম্যাচে বড় জয় পাওয়ায় গোল পার্থক্যে ইস্টবেঙ্গলের থেকে এগিয়ে থেকে গ্রুপ শীর্ষে মোহনবাগান। তাই ডার্বি ড্র হলেও গ্রুপ সেরা হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবেন দিমিত্রিরা। সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলকে নক আউট পর্বে যেতে হলে মর্যাদার লড়াই জিততেই হবে। দুই দলই ডার্বির প্রস্তুতিতে রক্ষণ সংগঠনে জোর দিলেন। ইস্টবেঙ্গলেও চোট ও ফিটনেস সমস্যা রয়েছে। হিজাজি মাহের পুরো ফিট নন। হালকা চোট রয়েছে মাদিহ তালালের। ক্লেটন সিলভা, দিমিত্রি দিয়ামানতাকোসও ৯০ মিনিট খেলার জায়গায় নেই। তাই বিকল্প রণনীতিও তৈরি রাখতে হচ্ছে কুয়াদ্রাতকে। শুক্রবার মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে দুই প্রধান থেকে অল্প সংখ্যক অফলাইন টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। সারারাত লাইন দিয়েও টিকিট পাননি অনেকেই। আগেই অনলাইন টিকিট নিঃশেষিত। শনিবার দুই প্রধানের সদস্যদের টিকিট দেওয়া হবে। সেই সংখ্যাও অপ্রতুল। ফলে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে।