সংবাদদাতা, কাটোয়া : নাদনঘাটের উঠতি প্রতিভা শঙ্কু দেবনাথের তৈরি দুর্গা (Durga Idol) এবার পাড়ি দেবে মার্কিন মুলুকে। সেখানকার লাইসিয়ানা রাজ্যের ইলিনুয়িজ স্ট্রিটে কয়েকঘর বাঙালির বাস। তাঁদের একজন নদিয়ার স্বরূপগঞ্জের বাসিন্দা অনিমেষ রায় এবার সেখানে প্রথম দুর্গাপুজোর উদ্যোগ নিয়েছেন। ভাল মানের মৃৎশিল্পী খোঁজার জন্য নবদ্বীপের বাসিন্দা তাপস দে-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তাপসবাবু খোঁজখবর নিয়ে তাঁকে পূর্বস্থলীর মাগনপুরের শিল্পী শঙ্কুর কথা জানান। তারপরেই এই বরাত পান তিরিশোর্ধ্ব বয়সেই শিল্পকর্মে শোরগোল ফেলে দেওয়া শঙ্কু দেবনাথ। সিমেন্ট, ফাইবার ও পিতল দিয়ে তৈরি শঙ্কুর শিল্পকর্ম ইতিমধ্যেই রসিকজনের তারিফ কুড়িয়েছে। তবে এই প্রথম দুর্গা (Durga Idol) গড়ছেন তিনি। তাও আবার বিদেশ থেকে মাস দুয়েক আগে আসা অর্ডার মেটাতে। লম্বায় সাড়ে ৩ ফুট, চওড়ায় ৪ ফুটের তৈরি কাঠের পাটাতনের উপর দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর-সহ বাহনদেরও নিখুঁতভাবে তৈরি করেছেন শঙ্কু। অঙ্গসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে রংবেরঙের পাথর ও সিটি গোল্ডের গয়না। ওজন দাঁড়িয়েছে ৬০ কেজির মতো। পারিশ্রমিক ৪ লক্ষ টাকা। শঙ্কুকে সহযোগিতা করছেন বাবা মদন দেবনাথ, মা প্রণতি দেবী ও বোন পায়েল। কৃষ্ণনগর থেকে মূর্তি নির্মাণে তালিম নেওয়া শঙ্কু জানান, ‘‘মাস দুয়েক আগে সম্পর্কে দাদা তাপস দে-র মাধ্যমে আমেরিকা থেকে দুর্গা গড়ার অর্ডার পাই। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আরও একটি দুর্গার অর্ডার পাই। তবে হাতে সময় না থাকায় সেই অর্ডার নিতে পারিনি।’’ গাড়ির ব্যবসায়ী অনিমেষবাবু পরিবার-সহ ১৫ বছর আছেন মার্কিন দেশে। প্রতিবেশী বাঙালিদের নিয়ে এবার প্রথম দুর্গাপুজো করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের বরাত পেয়েই নাদনঘাটের শিল্পী শঙ্কু তাঁর শিল্পকর্ম নিয়ে পা রাখছেন বিদেশের মাটিতে।
আরও পড়ুন- রোদ উঠতেই খুশির ঝলক দেখা গেল কুমোরটুলিতে