সুমন তালুকদার, বসিরহাট : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাঁর সেই বক্তব্যের প্রতিচ্ছবি মিলল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়া বাজার কমিটির দুর্গাপুজোতে। বাংলা সম্প্রীতি, সংস্কৃতির জীবন্ত প্রমাণ। বিদ্যাধরী নদীর তীরে সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়েছে এই পুজো। এবার ৭৯ বছরে পা রাখল হাড়োয়া বাজার কমিটির এই দুর্গাপুজো। এখানে রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন দুর্গামন্দির।
আরও পড়ুন-মালিকের বাড়ি ঘেরাও, অভিযান চা–শ্রমিকদের, বোনাস–চুক্তির খেলাপ
আর ঠিক তার পাশে রয়েছে পির গোরাচাঁদের মাজার শরিফ। এখানে যেমন হিন্দু সম্প্রদায় মানুষ মুসলিম সম্প্রদায়ের কাঁধে কাধ রেখে উরস উৎসব পালন করেন, ঠিক দুর্গাপুজোর সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে আনন্দে মাতেন। এমনকী উৎসবের মূল কমিটিতে মুসলিম ভাইরা রয়েছেন।
আরও পড়ুন-পঞ্জিকা মেনেই এখানে হয় পাঁচদিনের পুজো
দুর্গাপুজো কমিটির সদস্য শাহনওয়াজ মোল্লা বলেন, হাড়োয়ার মাটি সম্প্রীতি-সংস্কৃতি মেলবন্ধনের। এখানে হিন্দু ভায়েরা ইদের সময় মাজার শরিফের অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যান। আমরা ঠিক দুর্গাপুজোর সময় তাদের এই পাঁচদিন পাশে থেকে দেবী দুর্গার আরাধনায় মিলিত হই। এখানে কোনও ভেদাভেদ, বিভাজন নেই। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে যাই আমরা। দুর্গাপুজো কমিটির সদস্য রাজকুমার দে বলেন, এখানে কোনও জাতিগত ভেদাভেদ নেই, একে অপরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, আলিঙ্গন ও মিষ্টিমুখের মধ্য দিয়ে আমরা প্রতিটি উৎসবে সবাই এক জায়গায় হই। পুজো কমিটির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরী বলেন, সম্প্রীতি-সংস্কৃতি বেঁচে থাক, এটাই বলব।