অস্থিরতার মধ্যেই বাংলাদেশে দেবীবরণের প্রস্তুতি

পুজো উদযাপন পরিষদের সঙ্গে বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের, আশ্বাস নিরাপত্তার

Must read

প্রতিবেদন: একদিকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে চলছে সভা-সমিতি মিছিল, অন্যদিকে অস্থিরতার মধ্যেই চলছে দেবীবরণের প্রস্তুতি। বাংলাদেশে (Bangladesh) মণ্ডপে মণ্ডপে চলেছে তুলির শেষ টান। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকেই নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন সনাতনীরা। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি অব্যাহত। শান্তির দাবিতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশও করেছেন সংখ্যালঘুরা। কিন্তু তবুও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তেমন কোনও কড়া পদক্ষেপের উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। মহঃ ইউনুসের নেতৃত্বধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কার্যত নির্বিকার।
তবুও এসবের মধ্যেই বাংলাদেশে (Bangladesh) প্রায় ৩২ হাজার ৬৬৬টি মন্ডপে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে বলে সরকারিসূত্রে দাবি করা হয়েছে। যদিও অনেক উদ্যোক্তাই এবারে শেষমুহূর্তে পুজোর আয়োজন থেকে সরে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। অনেকে কাটছাঁটও করেছেন আয়োজনে। তবে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন, লালবাগ ঋষিপাড়া মন্দির, রাজারবাগ কালীমন্দির, শাঁখারিবাজার মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পুজোর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। অবশ্য ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এবারে বন্ধ রাখা হচ্ছে কুমারীপুজো।

আরও পড়ুন- প্রতিমা কুমোরটুলির, এবার নিউজার্সিতেও থিমের পুজো

বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর জানিয়েছেন, পুজোর প্রস্তুতি প্রায় শেষপর্যায়ে। সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়েছে আমাদের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি এবং প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, পুজোকে ঘিরে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও এব্যাপারে নজরদারি চালাবে। প্রতিটি পুজোমণ্ডপে থাকবে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। রমনা কালীমন্দির শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস বললেন, আশা করছি ভালভাবেই আয়োজন করতে পারবো পুজোর। প্রতিমাশিল্পীরা রঙের কাজ করছেন। চলছে আলোকসজ্জার কাজও।
রবিবার পুলিশের সদর দফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে নিরাপত্তাবিষয়ক কিছু পরামর্শ মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে। পুজোমণ্ডপে কোনও ব্যাগ, থলে কিংবা পোটলা নিয়ে প্রবেশ করা চলবে না। গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে রাখতে হবে আর্চওয়ে গেট। প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনওরকম গুজব ছড়িয়ে বা মন্তব্য করে যাতে অশান্তি পাকানোর চক্রান্ত না হয়, তারজন্য জনগণকে বিশেষ সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

Latest article