নকীব উদ্দিন গাজী,বারুইপুর: সন্ধিপুজো নয়, পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনের সময় এখানে গুলি চালানো হয় শূণ্যে। জনশ্রুতি আছে বারুইপুরের দমদমা গ্রামে বড় সংঘর্ষের সময় মা দুর্গা বন্দুক হাতে গুলি চালিয়ে সর্দার পরিবার সহ গ্রামের মানুষকে রক্ষা করেছিলেন। এরপরেই ঘটা করে দমদমার সরদার পরিবারের লোকজন দুর্গামন্দির তৈরি করেন। সেই কারণেই দুর্গা প্রতিমা (Baruipur- Durga Puja) বিসর্জনের সময় দু’বার বন্দুক শূন্যে চালানো হয়। তারপরেই প্রতিমাকে পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়। এই রীতি চলে আসছে শতাধিক বছরের বেশি দমদমা গ্রামে সররদার পরিবারের পুজোতে। পঞ্চমী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত সরদার পরিবারের পুরুষ ও মহিলারা নিরামিষ আহার করে পুজোর আয়োজন করেন। বাংলা ১৩০৭ সাল থেকে দমদমা গ্রামে সর্দার পরিবারে দুর্গাপুজো (Baruipur- Durga Puja) হয়ে আসছে। জমিজমা বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের চাঁদাতেই চলছে এই পুজো। প্রথম পুজো শুরু করেন মনোহর সরদার, এমনই জানালেন পরিবারের প্রবীণ সদস্য রঞ্জন সরদার। গ্রামের মানুষজন পুজোর কয়েকদিন আনন্দে মেতে ওঠেন নিজেদের পুজো মনে করেই। এখন সেই দুর্গা মন্দির সংস্কার করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। চলছে প্রতিমা তৈরির জোরদার প্রস্তুতি। বন্দুক বের করে পরিষ্কার করার কাজ করছেন পরিবারের সদস্যরা। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর পরেই প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু হয় মন্দিরে। কিন্তু অষ্টমীর দিন পরিবারের সদস্যরা সবাই মিলিত চলে আসেন পুজোয়। সদস্য রাজন্য সরদারের কথায়— বংশ পরম্পরায় এই পুজো চালিয়ে আসছি আমরা। আমাদের মা খুবই জাগ্রত। সর্দার পরিবারের দেড়শো জন ঝাঁপিয়ে পড়ি পুজোর আয়োজনে।
আরও পড়ুন- চতুর্থী থেকেই শহর সামলাতে রাস্তায় পুলিশ