প্রতিবেদন : চারদিক বরফের চাদরে ঢাকা। বছরের দু’মাস দেখা মেলে না সূর্যেরও। নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়েতেও (Durga Puja- Norway) হয় দেবীর আরাধনা। নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে স্ট্যাভেঞ্জার শহর। বিশ্বের উত্তর ভাগের একেবারে শেষ প্রান্ত। আর সেখানেই একেবারে অন্য নিয়মে পূজিত হন দেবী। নিজের হাতে ঠাকুর তৈরি করে পুজো করেন প্রবাসীরা। প্রতিমা তৈরি হয় প্লাস্টার অফ প্যারিস আর শোলা দিয়ে। শুধুমাত্র প্রতিমার শাড়ি, গয়না ও সাজানোর কিছু জিনিস কুমোরটুলি থেকে যায় ওখানে। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত খুব কম বাঙালির বাস এই বরফের দেশে। অসলো বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন পুজোর আয়োজন করে। তবে নিয়ম, আচার খুব নিখুঁতভাবেই মানেন তাঁরা। পুজোর পুরোহিত মেলে কীভাবে? অন্যতম উদ্যোক্তা জানালেন, কলকাতার পুরোহিত পুজো করেন। কীভাবে? উত্তর, ভিডিও কলে। একেবারে নিয়ম মেনে পুজোর নির্দেশ দিয়ে যান। ষষ্ঠীর বোধন হোক কিংবা অষ্টমীর অঞ্জলি, সবটাই অনলাইনে কলকাতা থেকে বলে যান পুরুতমশাই। মূলত উইকএন্ডেই পুজো হয় ওখানে। পুজো উদ্যোক্তারা জানালেন, ২০০৯ সালে শুরু। তখন দুর্গা ঠাকুরের প্রিন্ট আউট বাঁধিয়ে পুজো হত। এরপর, ২০১০ সালে প্রতিমা তৈরি হয়। এখন তিন চার বছর অন্তর অন্তরই প্রতিমা তৈরি হয়। প্রথম বছর ৩ থেকে ৪টি পরিবার মিলে পুজো শুরু হয়েছিল। এখন ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল মিলেমিশে পুজো (Durga Puja- Norway) করে। শোলা এবং প্লাস্টার অফ প্যারিস ব্যবহার করে ৫ থেকে ৭ ফুটের প্রতিমা তৈরি করেন তাঁরাই। দূর দেশে থেকেও তাঁরা প্রহর গোনেন মা দুর্গার আগমনের।
আরও পড়ুন-অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠায় বাতিল বিক্রি