তুহিনশুভ্র আগুয়ান, পাঁশকুড়া: আজ থেকে প্রায় ২৮২ বছর আগে দেবী মহামায়ার স্বপ্নাদেশ পেয়ে সূচনা হয় পাঁশকুড়ার কাশীজোড়া রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর (durga puja)। যে পুজোর অন্যতম অঙ্গ পোড়া রুটি ও পোড়া মাছ। মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে কাশীজোড় রাজবাড়ির পুজোর ঘটস্থাপন হয়। সেই সময় অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছিলেন তিনি। ফলে রাজ্যপাট চালাতে কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না। সেই সময় দেবী দশভূজা গঙ্গানারায়ণকে স্বপ্নে বলেন তাঁর পুজো শুরু করার জন্য। তবেই সুন্দরভাবে চলবে তাঁর রাজ্যপাট। তবে আর্থিক দুর্বল গঙ্গানারায়ণের পুজো করা নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। জাঁকজমক করে পুজো করার অর্থ তাঁর কাছে ছিল না। এরপরই দেবী (durga puja) ফের স্বপ্নাদেশ দেন, ভোগে শুধুমাত্র পোড়া মাছ, পোড়া রুটি ও লাল নটেডাঁটা দিয়ে ডালের টক দিলেই তিনি সন্তুষ্ট। এরপরই গঙ্গানারায়ণ শুরু করেন দেবী মহামায়ার আরাধনা। তারপর থেকেই সুন্দরভাবে চলতে থাকে তাঁর রাজ্যপাট। ইতিহাস বলছে, পাঞ্জাবের বাসিন্দা গঙ্গানারায়ণ হেঁটে ঘুরতে ঘুরতে ওড়িশায় পৌঁছান। যে সময় মুঘলরা একের পর এক ঐতিহ্যশালী স্থাপত্য ও ধর্মীয় স্থান ভেঙে ফেলছে। পুরীর মন্দির ধ্বংসেরও ছক ছিল তাদের। ওড়িশার রাজা মন্দির রক্ষার জন্য উপযুক্ত সেনাপতির খোঁজে ছিলেন। গঙ্গানারায়ণকেই সেনাপতি নিযুক্ত করায় তিনিই পুরীর মন্দিরকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেন। ফলে পুরীর রাজা উপহার হিসাবে কাশীজোড়া পরগনা দেন গঙ্গানারায়ণের হাতে। এর পরই ঘোড়ায় চেপে কাশীজোড়া এসে দেবীর স্বপ্নাদেশমতো তাঁর পূজার্চনা শুরু করেন গঙ্গানারায়ণ। স্বপ্নাদেশে বলা পদের পাশাপাশি সন্ধিপুজোয় দেবীকে দেওয়া হয় পঞ্চব্যঞ্জন।
আরও পড়ুন-সমালোচনা সহ্য করেও কাজ করে পুলিশ: আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পাশে থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর