প্রতিবেদন : দুর্গাপুজোর শেষে এবার কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়েও সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকেই কালীপুজোর উদ্বোধন শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)।
এদিন ৬-এর পল্লি সার্বজনীন, গিরিশ পার্কের সঞ্জয় বক্সির পুজো, জানবাজারে স্বর্ণকমল সাহার পুজো, শেক্সপিয়ার সরণির পুজো-সহ একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, উৎসবে কোনও আমরা-তোমরা নয়।। উৎসব সবার। সকলকে নিয়েই চলতে হবে। ধর্মে ধর্মে কোনও বিভেদ নেই। এটুকু আমি বিশ্বাস করি। অনেকেই সমালোচনা করে অনেক কিছু বলেন কিন্তু তাঁদের কথায় আমার কিছু যায় আসে না। দুর্গাপুজো নির্বিঘ্নে ও শান্তিতে কাটায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজো ও দীপাবলিও শান্তিতে কাটাবে বাংলার মানুষ। মনে রাখতে হবে কোনও শব্দদূষণ নয়, বাজিদূষণ নয়। পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়াবেন। আলোর উৎসবে আমরা সকলেই শামিল হই কিন্তু কোনওভাবেই যেন আমাদের আনন্দ মানুষের হৃদয়ে দুঃখ না দেয়। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজ্যে সমস্ত সম্প্রদায় জাতি নির্বিশেষে একে অপরের উৎসবে শামিল হই। ফলে এবারও তার অন্যথা হবে না। সামনেই ছটপুজো আসছে। ঘাটগুলিতে কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলায় যাঁরা আছেন তাঁরা বাংলাকে আপন করে নিন। আমাকে আক্রমণ করতে গিয়ে বাংলাকে বদনাম করবেন না। এদিন গিরিশ পার্ক, জানবাজার, শেক্সপিয়ার সরণির পুজোগুলিতে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, শশী পাঁজা, সঞ্জয় বক্সি, স্বর্ণকমল সাহা, স্মিতা বক্সি, কুণাল ঘোষ, সন্দীপন সাহা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, জাভেদ খান, দেবাশিস কুমার-সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতৃত্ব।