প্রতিবেদন : প্রতীক্ষার অবসান। প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে ধরায় এলেন মা। আজ মহাষষ্ঠী। দেবীর বোধন। বৃহস্পতিবার মহাপঞ্চমীর দিনেও অনেক মণ্ডপেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলেছে শেষ তুলির টান। রাত পোহাতেই কিন্তু মা দুর্গা এবং তাঁর ৪ সন্তানকে স্বাগত জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত উদ্যোক্তারা। পুজোর আসল সূচনা যে এইদিনেই।
আরও পড়ুন-চতুর্থীতেই জনজোয়ারে ভাসল দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ
যদিও শারদোৎসব বলতে যা বোঝায় তা কিন্তু বাংলায় শুরু হয়েছে একমাস আগেই। দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে মহানগরীতে মহাশোভাযাত্রার মধ্যে দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী শুভসূচনা ঘোষণা করেছেন উৎসবের। এবারে তাই কলকাতা তথা সারা বাংলার বারোয়ারি মণ্ডপগুলির বেশিরভাগই সেজে উঠেছে কিছুটা আগেই। কোভিডত্রাস কাটিয়ে উঠে প্রতিমাশিল্পীরাও কাজ শেষ করে ফেলেছেন আগেভাগেই। মণ্ডপে প্রতিমাও রওনা হয়ে গিয়েছে আগেই। সেই কারণেই ঠাকুর দেখার পর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। মূল পুজোর দিনগুলিতে বৃষ্টির আশঙ্কাতেও অনেকেই পুজোর আনন্দটা উপভোগ করে নিতে চাইছেন অগ্রিম।
আরও পড়ুন-চণ্ডীদাসের পুজোর নির্ঘণ্ট জলঘড়ি মেনে
তৃতীয়ার সন্ধ্যাতেই আলোর মালায় সেজে উঠেছে কলকাতা-হাওড়া। মণ্ডপে, রাস্তায় দর্শনার্থীদের ঢল। চতুর্থী, পঞ্চমীর বিকেলে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে সেই দর্শনার্থীর সংখ্যা। পঞ্চমীর দুপুর থেকেই রাস্তায় দেখা গিয়েছে কচিকাঁচার ভিড়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নিয়ে বড়রাও বেরিয়ে পড়েছেন ছাতা হাতেই। নিপুণ হাতে ভিড় সামলেছে পুলিশ। এড়ানো সম্ভব হয়েছে যানজটও। গ্রাম-শহরের আনন্দপিয়াসীদের সাফ কথা, আবহাওয়া যাই হোক না কেন ষষ্ঠীতেও ঘরে বন্দি থাকবেন না কেউই। পথে নেমে ভাগ করে নেবেন আনন্দ।