আজ ইংরেজি বর্ষের পয়লা তারিখ, ১৮২৭ সাল। রাজা বৈদ্যনাথের কলকাতার মস্ত বাড়িতে মল্লযুদ্ধের আয়োজন করা হয়েছে। শহরের ধনী ব্যক্তিদের নানারকমের শখের মধ্যে বুলবুলির লড়াই, পায়রা ওড়ানো, বেড়ালের বিয়ে দেওয়ার মতো আরেকটি শখ হল পালোয়ান পোষা। বাবুরা সব নিজের খরচে পালোয়ান পোষেন আর তাদের দিয়ে মল্লযুদ্ধ করান। পালোয়ানদের জয়ই হল তাঁদের জয়। মল্লযুদ্ধের জনপ্রিয়তা কলকাতা শহরে এত বেড়েছে যে এ-দেশীয় রাজা, জমিদার, উঠতি বড়লোকেরা ছাড়াও ইউরোপীয়রা পর্যন্ত নিজের নিজের পালোয়ান নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন মল্লযুদ্ধের আসরে।
রাজা বৈদ্যনাথের মল্লযুদ্ধেও দেশি-বিদেশি মিলিয়ে বহু পালোয়ান যোগ দিয়েছে। মেজর ব্যাম্বেল, জর্জ পামারের মতো শৌখিন আর বিলাসী সাহেবরাও এসেছেন তাঁদের নিজের নিজের পালোয়ানদের নিয়ে। সে এক হইহই রইরই ব্যাপার।
আরও পড়ুন-দিদির জন্যই সম্মানিত বাংলার মেয়েরা, খড়্গপুরে ভিড়ে ঠাসা কর্মিসভায় চন্দ্রিমা
গত তিনদিন ধরে চলছে রুদ্ধশ্বাস প্রতিযোগিতা। মল্লযুদ্ধে সবাইকে হারিয়ে শেষপর্যন্ত বর্তন সিং জয়ী হল। লড়াই জিতে বর্তন সিং তার দুই মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে তুলে এমন এক হুঙ্কার ছাড়ল যে তাতে উপস্থিত জনতার পিলে চমকে গেল। মুগুরভাঁজা, পেটানো চেহারা তার। হাত আর পেটের গুলি দেখলে সন্দেহ হয়, এ-কি আসলে মানুষ, নাকি অসুর? দর্শকদের জয়ধ্বনির মধ্যে প্রতিযোগীতায় বিজয়ীর পুরস্কার স্বরূপ নগদ পাঁচশ টাকা ধুতির খুঁটে গুঁজে নিজের ‘বাবুর’ পিছু পিছু মল্লভূমি ছাড়ল সে।
বর্তন সিংয়ের মালিক হল চুঁচুড়ার জমিদারবাবু প্রাণকৃষ্ণ হালদার। পালোয়ানের জয় তো তাঁরই জয়! জনতা তাই বর্তন সিংয়ের পাশাপাশি চলেছে প্রাণকৃষ্ণ হালদারের নামে জয়ধ্বনি। গর্বে তাই তাঁর বুক ফুলে উঠেছে।
প্রাণকৃষ্ণ হালদারের জমিদারি চুঁচুড়ো আর ফরাসডাঙায়। জমিদার প্রাণকৃষ্ণ হালদারকে শুধু বিত্তশালী বললে তার কিছুই বলা হল না। জমি জিরেত বাদ দিয়ে চুঁচুড়াতেই আছে তাঁর পাঁচ-ছ’খানা বাগানবাড়ি। ফরাসডাঙাতে আছে একটি মস্ত বাগানবাড়ি। কলকাতা শহরে আটখানি অট্টালিকা। আর সেসব বাড়ির আয়তন কত? বেশ, একটা দুটো বাড়ির কথা বলা যাক। ট্যাঙ্কস্কোয়্যারের কাছে তাঁর যে তেতলা অট্টালিকাটি আছে সেটি একবিঘা চোদ্দ কাঠা জমি জুড়ে। রাসেল স্ট্রিটের একখানা বাড়ি আট বিঘা পনেরো কাঠা জমি জুড়ে। এছাড়াও কলকাতার আরও নানা জায়গায় তার বাড়ি আছে বলে শোনা যায়।
এখানে উল্লেখ্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বর্তমানে তাদের দেশের রাজপুরুষ বা উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের নামে যেসব রাস্তার নামকরণ করতে শুরু করেছে রাসেল স্ট্রিট তাদের অন্যতম। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হেনরি রাসেলের নামে এই রাস্তার নামকরণ হয়েছে।
তা এ-হেন ধনী মানুষ যে সাড়ম্বরে দুর্গাপুজো করবেন এতে আর বিস্ময়ের কী আছে? এমনিতেই এখন কলকাতার বনেদি পরিবারগুলোর মধ্যে জাঁক করে পুজো করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। পুজোয় যে যত জাঁক করতে পারবে, ধরে নেওয়া হবে তাঁর প্রতিপত্তি তত বেশি। কলকাতা শহরের একেকটা পুজোয় খরচ হয়ে যাচ্ছে লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-২৬৮ বছরে পড়ল কর্মকার বাড়ির পুজো
প্রাণকৃষ্ণের দুর্গাপুজো অবশ্য নতুন নয়। তিনি অনেক আগে থেকেই ঘটা করে মায়ের পুজো করেন। শ্রীরামপুরের মিশনারিদের সংবাদপত্র ‘সমাচার দর্পণ’-এ গত দু’বছর ধরে ছাপা হয়ে আসছে প্রাণকৃষ্ণের দুর্গাপুজোর খবর। কিন্তু এ-বছর তিনি পুজোয় এমন জাঁক করলেন যে কলকাতার বনেদি পুজোগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ঢুকে পড়ল বাবু প্রাণকৃষ্ণ হালদারের পুজো।
২০ সেপ্টেম্বর তারিখে ইংরেজি কাগজ ‘ক্যালকাটা গেজেট’-এ ছাপা হল একটি অদ্ভুত আমন্ত্রণপত্র। শিরোনামে লেখা হল ‘গ্র্যান্ড নচেস’ অর্থাৎ ‘বিরাট নৃত্যসভা’। তারপরে, ‘চুঁচুড়ার বাবু শ্রী প্রাণকৃষ্ণ হালদার শহরের ভদ্রলোক, ভদ্রমহিলা এবং জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে তিনি তাঁর চুঁচুড়ার বাড়িতে এক মহতি নাচের আসরের আয়োজন করেছেন। আসর চলবে ২০ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখ পর্যন্ত। যাঁরা আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন, বাবু সবিনয়ে, ওই সময়ে সেইসব ভদ্রলোক এবং ভদ্রমহিলাদের সাহচর্য প্রার্থনা করছেন। যাঁরা টিকিট অথবা নিমন্ত্রণপত্র পাননি, অর্থাৎ বাবুর সঙ্গে যাঁদের সাক্ষাৎ আলাপ-পরিচয় নাই, তাঁদেরও তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। বাবুর তরফে তাঁদের অ্যাপ্যায়নের কোনও ত্রুটি ঘটবে না’।
এছাড়াও এই বিজ্ঞাপন তথা নিমন্ত্রণপত্রটিতে সরাসরি বলা হয়েছে, ‘অভ্যাগতরা প্রত্যেকে ‘টিফিন’ পাবেন, অর্থাৎ প্রাতরাশ। ‘তা ছাড়া পাবেন ডিনার। খাদ্যের সঙ্গে থাকবে ঢালাও মদও’। এমন বিজ্ঞাপন দেখে সাধারণ মানুষ তো বটেই, কলকাতার অনেক বনেদি বাবুরও চোখ কপালে উঠল। ঢালাও আমন্ত্রণ! কত টাকা আছে লোকটার, যে এভাবে অগুন্তি মানুষকে নেমন্তন্ন করছেন?
প্রাণকৃষ্ণের দুর্গাপুজোয় সত্যি সত্যিই দলে দলে সাহেব-মেম আর কলকাতার বাবু-বিবিরা এলেন কলকাতা থেকে। ইংরেজ-প্রিয় প্রাণকিশোর হালদার নিজের নাম ইংরেজিতে লেখেন ‘বাবু প্রাণকিশোন হলডার’। অবশ্য যেসব বাবু-বিবিদের বাড়িতে পুজো নেই, বিশেষ করে তাঁরাই। এলেন বাবু প্রাণকৃষ্ণ হালদারের বয়স্যরা। প্রাণকৃষ্ণের আয়োজন আর তাঁর অভ্যর্থনার ঘটা দেখে বোঝাই যাচ্ছে তাঁর মতো ধনী আর হৃদয়বান মানুষ কলকাতায় নেই। কলকাতায় যে পাঁচ-সাতটি বড় পরিবার মস্ত জাঁক করে পুজো করেন, তাঁদের আয়োজনকে এবার ফিকে মনে হতে লাগল। সাধে কি আর কথাটা চালু হয়েছে, ‘বাবুর বাবু সেরা বাবু প্রাণকৃষ্ণ হালদার’।
তবে শুধুমাত্র ধনীরাই তাঁর পুজোয় নিমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন এমন মোটেই নয়। তাঁর জমিদারির সমস্ত প্রজা সাত দিনের জন্য পাত পেরেছিল তাঁর বাড়িতে। সাতদিন দুবেলা দেদার খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। আশেপাশের গাঁ-গঞ্জ থেকে নিজের আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে যেতেও কোন বাধা চজিল না তাদের। দুর্গাপুজোর ক-দিন অবারিত দ্বার সকলের জন্য। আর সেইসঙ্গে প্রাণকৃষ্ণ মুক্তহস্তে দানও করেন প্রজাদের।
প্রাণকৃষ্ণকে বেহিসেবি, খরুচে বলে ধরে নিলে ভুল হবে। তিনি দুঃস্থ মানুষের পাশে থাকেন, তাঁদের হিতার্থে বহু অর্থ ব্যয় করেন বলেও তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি হয়েছে। দুর্গাপুজোর ঠিক পরের মাসেই, অর্থাৎ ২০ অক্টোবর তারিখে ‘সমাচার দর্পণ’-এর আরেকটি প্রতিবেদনে ছাপা হল, ‘শুনিলাম শহর চুঁচুড়া নিবাসি দ্বিজমিষ্টভাষী শ্রীযুতবাবু প্রাণকৃষ্ণ হালদার মহাশয় বহুতর ধনব্যয়পূর্ব্বক নানা রোগের ঔষধ প্রস্তুত করিয়া দীনদরিদ্র রোগীদিগকে ঐ ভেষজদানদ্বারা আরোগ্য করিয়া দিতেছেন। বিশেষ শুনিলাম, ধনবান, অর্থাৎ যাঁহারা ধনব্যয়দ্বারা ঔষধ প্রস্তুত করিতে পারেন, এমন ব্যক্তিকে দেন না, কিন্তু কাঙ্গাল রোগগ্রস্ত যত লোক যায় তাবৎকেই দিয়া থাকেন ইহাতে অবারিতদ্বার…’। এমন খবর পড়ে কলকাতার জনতা ‘সাধু সাধু’ করল। এইভাবেই গড়গড়িয়ে চলল বাবু প্রাণকৃষ্ণের বিজয়রথ।
১২ মার্চ, ১৮২৯ তারিখে ‘ক্যালকাটা গেজেট’এ প্রাণকৃষ্ণ হালদারকে নিয়ে যে খবরটি প্রকাশিত হল তা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল কলকাতা এবং চুঁচুড়াবাসী। ‘ক্যালকাটা গ্যাজেট’ লিখেছে, ‘বাবু প্রাণকৃষ্ণ হালদার দ্বীপান্তরে চলেছেন। সাত বছরের জন্য আদালতের রায়ে তাঁকে চালান দেওয়া হচ্ছে প্রিন্স অব ওয়েলস দ্বীপে। তাঁর অপরাধ, জালিয়াতি’। আরও লিখেছে ‘চুঁচুড়ার প্রাণকৃষ্ণ হালদার বিখ্যাত ধনী ব্যক্তি। তাঁর বিলাসিতার কাহিনী সর্বজনবিদিত। তিনি বন্ধু ও অতিথিদের নাচগান এবং খানাপিনায় আপ্যায়ন করে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কে জানে, মাত্রাহীন বিলাসিতাই তাঁর কাল হল কি না। আমরা আশা করব, তাঁর এই বেদনাদায়ক পরিণতি থেকে অন্যরা শিক্ষালাভ করবেন’।
আরও পড়ুন-প্রশ্ন আছে উত্তর চাই
সংবাদ পাঠ করে বিস্ময়ে হতবাক হওয়া ছাড়া করণীয় আর কিছু নেই। যে মানুষটা এমন ধুমধাম করে, এত খরচ করে মায়ের আরাধনা করেন, কত মানুষ তাঁর পুজোয় নিমন্ত্রিত হন সে-খবর তাঁর নিজেরই জানা নেই; আর সেই মানুষটাই কিনা জালিয়াত! প্রাণকৃষ্ণকে নিয়ে মানুষ দ্বিধাবিভক্ত হল। সবার মনেই দ্বন্দ্ব তৈরি হল মানুষটাকে নিয়ে। কেউ বলল, ‘মানুষটা খারাপ কিছু করতেই পারেন না’, আবার অন্যরা বলল, ‘নিশ্চয়ই কোন ব্যাপার আছে, নাহলে জালিয়াতির মামলা হবেই বা কেন!’
২৯ মার্চ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট মামলার রায় দিল। সেই রায়ের সঙ্গে যে তথ্য প্রকাশিত হল তা সাধারণ মানুষের বিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বাবু প্রাণকৃষ্ণ হালদার ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে নানা জনের থেকে ষাট লক্ষ টাকা কর্জ করেন। পাওনাদাররা তাঁদের অর্থ ফেরত চাইলে তিনি তা দিতে অসমর্থ হন। আর সেই প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের রায়।
আর্থিক জালিয়াতি সুপ্রিম কোর্টে ভয়ঙ্কর অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। প্রাণকৃষ্ণের নিকটজনেরা, তার দেশি এবং বিদেশি বন্ধুরা আদালতের কাছে তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি জানালেন। তাঁরা বললেন, ‘প্রাণকৃষ্ণের মতো সজ্জন মানুষ আর হয় না। তাঁর মতো শিক্ষিত এবং ধার্মিক ব্যাক্তি ইচ্ছাকৃত এই কাজ করেননি। মানুষের উপকার করতে গিয়েই তাঁর ঋণ হয়েছে। বহু মানুষের আদর্শ প্রাণকৃষ্ণ। তাঁকে শাস্তি পেতে দেখলে অনেকেই নৈতিকভাবে ভেঙে পড়বেন। তাই সব দিক বিচার বিবেচনা করে আদালত যেন তাঁকে ক্ষমা করে দেন। শুধু তাই-ই নয়, প্রাণকৃষ্ণ হালদার একজন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। তাঁকে দ্বীপান্তরে পাঠালে কালাপানি পেরোনোর দায়ে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে সমাজচ্যুত হতে হবে। তাঁর ছেলেরা বিনা অপরাধে কেন এই শাস্তি পাবে? কালাপানি পেরোলেই পরিবারের ধোপা-নাপিত বন্ধ হয়ে যাবে। বাপের অপরাধে সন্তানেরা কেন শাস্তি ভোগ করবে। মহামান্য আদালত যেন এই দিকটি ভাল করে খতিয়ে দেখেন।’
কিন্তু পরিবারের তরফে এই আবেদন অরণ্যে রোদনই হল। বিচারক আবেদনকারীদের যুক্তি এককথায় খারিজ করে দিয়ে বললেন, ‘প্রাণকৃষ্ণ হালদার সমাজের একজন বিশিষ্ট মানুষ। তিনি ব্রাহ্মণ, পণ্ডিত এবং দাতা। তাঁকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হন। তাই তাঁর অনেক বেশি করে সংযত আর দায়িত্ববান হওয়া উচিত ছিল। তাঁর এমন কোন কাজ করা উচিত হয়নি, যার দ্বারা সমাজের অকল্যাণ হয়। প্রাণকৃষ্ণ হালদারের অপরাধের শাস্তি উদাহরণ হয়ে থাকুক সমাজের কাছে।’ এই বলে বিচারক প্রাণকৃষ্ণকে সাত বছর দ্বীপান্তরের সাজা শোনালেন। এরপর বাবু প্রাণকৃষ্ণ হালদারের জাঁকজমকের পুজোর খবর আর পাওয়া যায়নি।
২৭ জুলাই, ১৮২৮ তারিখে ‘ক্যালকাটা গেজেট’-এ বাবু প্রাণকৃষ্ণ হালদারকে নিয়ে আরও একটি খবর প্রকাশিত হল। তাতে লেখা হল ‘‘বাবু প্রাণকৃষ্ণ হালদারের কিছু সম্পত্তি নিলামে উঠেছে। নিলাম ডেকেছে ‘মেসার্স ম্যাকেঞ্জি ল্যাল অ্যাণ্ড কোম্পানি’। তাতে দেখা গেল প্রাণকৃষ্ণের চন্দননগর আর কলকাতার মোট আটটি বাড়িই নিলাম হচ্ছে। তার মধ্যে আছে চুঁচুড়ার পাঁচ-ছ’খানা বাড়ি, চন্দননগরের বাগানবাড়ি, কলকাতার লালদীঘির কাছের তিনতলা বাড়ি আর রাসেল স্ট্রীটের বাড়িটিও আছে।”
ফরাসডাঙা – চন্দনগর
ট্যাঙ্কস্কোয়্যার – লালদীঘি (মহাকরণের সামনের দীঘি)