অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শীতে নিষ্পত্র হয় প্রকৃতি। বসন্তে নতুন পাতায় ফুলে ভরে গাছ। নীল দিগন্তে খেলে ম্যাজিক। পলাশ–শিমুলে রঙিন হয়ে ওঠে পথপ্রান্তর। সেই রং লাগে মানুষের মর্মে–কর্মে। বিশ্বকবি আশ্রমিক, পড়ুয়া, শিক্ষক সবাইকে নিয়ে মেতে উঠতেন বসন্ত বন্দনায়। তার রেশ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে নানা প্রান্তে। যেমন শিল্পনগরী দুর্গাপুরও যন্ত্রজীবন দূরে সরিয়ে মেতে ওঠে উদযাপনে। প্রভাতফেরি, নাচ-গানের মূর্ছনায়। শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসবের সুখ্যাতি বিশ্বজোড়া।
আরও পড়ুন-হাসপাতালে তাণ্ডবে এফআইআর
লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশ নিতেন। অধুনা সেলফিশ জায়ান্টের মতো স্বৈরাচারী উপাচার্য সাধারণের ঢোকা মানা করেছেন। তা হোক, শান্তিনিকেতনের অনুকরণে প্রায় এক দশক আগে দুর্গাপুরের গীতাঞ্জলির উদ্যোগে শুরু হয়েছে বসন্তবন্দনা। সিটি সেন্টার হয়ে উঠছে ছোট শান্তিনিকেতন। শরিক হাজার হাজার মানুষ। প্রভাত সূর্যের কিরণ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই খোল–করতাল নিয়ে ‘খোল দ্বার খোল’ সংগীতের মূর্ছনায় মাতেন নানাবয়সি মানুষ। হলুদ-সবুজের সমাহারে পলাশ, শিমুলের মালা গেঁথে পরে মেয়েরা। এই উৎসবের সূচনা হয়েছিল প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান পুর প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে। সেই ধারা বহমান। অনিন্দিতা জানান, তিনি বিশ্বভারতীর ছাত্রী। ছোট থেকেই ওখানকার উৎসব হৃদয় ছুঁয়ে আছে। তাই এই ছোট মাপের এক প্রণতি।