অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩০ হাজার কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি এল বুধবারের বিজনেস সিনার্জি থেকে। সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার কয়েকশো শিল্পপতির উপস্থিতিতে শেষ হল ২০২১ সালের এই শিল্প সমাবেশ। রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন এদিনের শিল্প সামিটের। রাজ্য সরকারের মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইসেস (এমএসএমই) দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত সিনার্জি অ্যান্ড বিজনেস ফেসিলিটেশন কনক্লেভ ২০২১-এর এই বাণিজ্য সম্মেলন থেকে প্রত্যক্ষভাবে ১১ হাজার কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে চলেছে। উদ্বোধনী বক্তব্যে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, এই সিনার্জি কনক্লেভের মাধ্যমে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার কয়েকশো উদ্যোগপতি নতুন করে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে শিল্পে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে উন্নীত করতে চাইছেন।
আরও পড়ুন : বনগাঁ-বসিরহাট থেকে ১০ কোটি রাজস্ব লক্ষ্য
এ-জন্য তিন জেলায় পৃথক ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্যের এমএসএমই ও বস্ত্রবয়ন দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ২০১৪ সালে রাজ্য সরকার শিল্পস্থাপনের জন্য যে ২০ একর ন্যূনতম জমির সিলিং রেখেছিল, সেই সিলিং সীমা শিথিল করে ৫ একর করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের ফলে প্রতিটি জেলাতেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এদিনের মঞ্চ থেকেই ক্ষুদ্র এ অতিক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনে আগ্রহী শিল্পোদ্যোগীদের হাতে ব্যাঙ্ক ঋণের চেক প্রদান করা হয়। সিনার্জির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় মোট ১১৫০টি জমির চরিত্র পরিবর্তন, ৩৭৭টি বিদ্যুৎ সংযোগ, ১৭৪টি দূষণ ছাড়পত্র ৮৩টি ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের ছাড়পত্র ছাড়াও অন্যান্য ১০টি ক্ষেত্রের পরিকাঠামো প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক এস অরুণপ্রসাদ জানান পুরুলিয়ার বলরামপুরে লাক্ষা এবং পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর এলাকায় রিফ্রাক্ট্রি বিষয়ক একটি ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই থাকছে কমন ফেসিলিটি সেন্টার।