উৎসবের মরশুমে শাক সবজি ও নিত্য প্রয়োজনীয় আনাজপাতির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য সরকার (West Bengal Government) নিয়মিত বাজারে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অঙ্গ হিসাবে রাজ্য সরকারের বাজারদর বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা সোমবার পুলিশ ও এনফোর্সমেন্ট শাখাকে সঙ্গে নিয়ে শিয়ালদহ কোলে মার্কেট এবং শিয়ালদহের মাছের বাজারে হানা দেন। শাকসবজির পাশাপশি মাছ এবং মুরগির মাংসের দাম নিয়েও তাঁরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সাধারণ ক্রেতাদের কাছেও পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়। নির্ধারিত দামের থেকে যাতে মুরগি ও ডিমের দাম কোনোভাবেই বেশি না নেওয়া হয় এই ব্যাপারে বিক্রেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় এভাবে অভিযান চালানোর ফলেই বাজারদরের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়েছে। কালীপুজো ও ভাইফোঁটার সময়ও তাই একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে বলে সরকারের দাবি।
আরও পড়ুন- জীবনদায়ী ওষুধের দাম লাগামছাড়া, মোদিকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্য সরকার (West Bengal Government) ও প্রশাসনের তৎপরতায় পুজোর সময় বাজারে মাছ, সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে ছিল অনেকটাই। কালীপুজো ও ভাইফোঁটার সময়ও যাতে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে থাকে সে ব্যাপারে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। টাস্ক ফোর্স, এনফোর্সমেন্ট শাখার নিয়মিত নজরদারি, সুফল বাংলা স্টলের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি-সহ যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন। রবিবার জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্গোৎসব চলাকালীন কৃষিজ বিপণন বিভাগ সুফল বাংলার মাধ্যমে বাজারে বিভিন্ন সবজির যোগান বজায় ও মূল্য নিয়ন্ত্রণাধীন রাখতে যে যে পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করেছিল তা সর্বতোভাবে ফলপ্রসূ হয়েছে। সুফল বাংলার এই সাম্প্রতিক প্রয়াসগুলি বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম কমাতে এবং যোগান বাড়াতে সফল হয়েছে। উৎসব পরবর্তীকালীন সময়েও এই পদক্ষেপগুলি বাজারে কৃষিজ পণ্যের যোগান ও মূল্য স্থিতিশীল রাখবে। কলকাতা-সহ রাজ্যের সব জেলায় কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট দফতর ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের সমন্বয়ে টাস্ক ফোর্স নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করছে, যাতে বাজারে সমস্ত প্রকার সবজির যোগান বৃদ্ধি পায় ও মূল্য স্থিতিশীল থাকে। এই কাজ ভবিষ্যতেও চলবে।
আরও বলা হয়েছে, রাজ্যের হিমঘরগুলিতে বর্তমানে পর্যাপ্ত ১৯ লক্ষ মেট্রিক টন আলু মজুদ রয়েছে। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুফল বাংলার মাধ্যমে সরাসরি চাষীদের কাছ থেকে ২০০ টনের বেশি সুখসাগর পেঁয়াজ কেনা হয়েছে। সুফল বাংলা স্টলের মাধ্যমে টমেটো, কাঁচা লঙ্কার মত সবজি ১৫ থেকে ২০% কম দামে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।