কর্মবিরতিতে বেসরকারিতে ৭৪ হাজার রোগী দেখেছেন, ৫৬৩ জুনিয়র ডাক্তারের ‘কীর্তি’ ফাঁস

রকারি হাসপাতালে কর্মবিরতির নামে তাঁরা যে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে দেদার প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালিয়ে গিয়েছেন তা ফাঁস হয়ে গেল অবশেষে।

Must read

প্রতিবেদন : আরও কীর্তি ফাঁস আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের। সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতির নামে তাঁরা যে বেসরকারি (Private) হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে দেদার প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালিয়ে গিয়েছেন তা ফাঁস হয়ে গেল অবশেষে। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত কোনও চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে চিকিৎসা করতে পারেন না, সেন্ট্রাল হেল্থ সার্ভিসেস ১৯৯৬ আইনেই তা পরিষ্কারভাবে বলা আছে। সম্প্রতি সংসদে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন সে কথা।

আরও পড়ুন-মাদারিহাটে ইউসুফের রোড শো, হাড়োয়ায় সায়ন্তিকা-সুজিত, রবিবাসরীয় প্রচারে তৃণমূল ঝড়

শুধুমাত্র বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার বা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দিলে বেসরকারি ক্ষেত্রে রোগী দেখতে পারেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিল পর্যন্ত হতে পারে। ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইন ২০১৭ অনুযায়ী যদি কোনও সরকারি চিকিৎসক বেসরকারি ক্ষেত্রে প্র্যাকটিস করেন তাঁর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ অথবা স্বাস্থ্য দফতর আইনি পদক্ষেপ করতে পারে। বাংলায় যে সমস্ত ডাক্তার আন্দোলন বা কর্মবিরতি চলাকালীন নার্সিংহোমে বা বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাকটিস করেছেন, তাঁদের কারও ক্ষেত্রেই স্পেশালাইজেশনের প্রশ্ন ওঠে না। কারণ তাঁরা এখনও ছাত্র। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে আন্দোলন চলাকালীন বাংলার ন্যূনতম ৫৬৩ জন জুনিয়র চিকিৎসক সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি পালনের নামে বেসরকারি হাসপাতালে বা নার্সিংহোমে রোগী দেখেছেন। সরকারি কোষাগার থেকে স্টাইপেন্ড নিয়েছেন আবার বেসরকারি হাসপাতালে বিপুল টাকার বিনিময়ে প্র্যাকটিস করেছেন। সাম্প্রতিক তথ্যে উঠে এসেছে আন্দোলন চলাকালীন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে ওই চিকিৎসকরা ৭৪ হাজারেরও বেশি রোগী দেখেছেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে তাঁদের দায়বদ্ধতা নিয়েও।

Latest article