প্রতিবেদন : পরপর দুটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান (Afghanistan)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই কম্পনে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহতের প্রকৃত সংখ্যা কত সেটা সরকারিভাবে এখনও জানান হয়নি। আফগানিস্তানের (Afghanistan) পাশাপাশি মঙ্গলবার সকালে অরুণাচল প্রদেশের বাসারেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৯। তবে অরুণাচল থেকে সে ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
আরও পড়ুন – দর উঠল ২৪ কোটি, ডালাসে রেকর্ড করল স্পাইডারম্যানের একটি পাতা
সোমবার দুপুরে পশ্চিম আফগানিস্তানের বাদঘিস প্রদেশের কাদিস এলাকায় এই ভূকম্পন হয়েছে। মঙ্গলবার আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, প্রথম কম্পন অনুভূত হয়েছিল সোমবার দুপুরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৩। তার কয়েক ঘন্টা পর দ্বিতীয়বার কম্পন অনুভূত হয়। দ্বিতীয়বারের কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৯। এই কম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল হিন্দুকুশ পর্বতমালা। ইউরেশিয়ান এবং ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ছয়জন মহিলা এবং পাঁচজন শিশু আছে। জোড়া কম্পনে একাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপরে গিয়েছে টেলিফোন ও বিদ্যুতের খুঁটি। জোরকদমে চলছে উদ্ধার কাজ। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। কারণ বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা খুব বেশি না হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আশ্চর্যজনকভাবে অনেকটাই বেশি। এলাকার বেশিরভাগ বাড়ি ভেঙে পড়েছে। একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধার কাজ শুরু করেন। পশ্চিম আফগানিস্তানের কাদিস এলাকা এমনিতেই খরাপ্রবণ। সেখানে চাষবাস খুব একটা ভাল হয় না। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তার উপর তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর বিদেশি অনুদান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে কাদিস এলাকার মানুষ এমনিতেই প্রবল কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। কম্পনে কাদিসের মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ।