প্রতিবেদন : জোড়া ভূমিকম্পে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে মায়ানমার। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে প্রতিবেশী তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেরও কিছু অংশ। এখনও পর্যন্ত সেই দেশে মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ১৬৭০। মার্কিন সংস্থার আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদিকে শনিবার সকালেও ফের কাঁপল মায়ানমার। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪.২। টানা ২৪ ঘণ্টায় মোট ৬ বার কাঁপল এক বিরাট অংশ। ওই কম্পন অনুভূত হল আফগানিস্তানেও।
আরও পড়ুন-”পুলিশ সতর্ক রয়েছে” সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম এবং এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার
ভারত থেকে ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে শনিবার সকালেই মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বিমান। বিমানবন্দর থেকে তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, কম্বল, খাবার, সোলার ল্যাম্প, অ্যান্টিবায়োটিক, সিরিঞ্জ নিয়ে মায়ানমারে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেশী সেই দেশে এখন শুধুই স্বজনহারাদের কান্নার শব্দ। চারিদিকে হাহাকার। পর্যাপ্ত খাবার এবং জল ছাড়াই রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন সর্বহারা মানুষ। কয়েক মিনিটের ভূমিকম্পে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বহুতল। ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তার উপর। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য। ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না সেই খোঁজও চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভূমিকম্পে মায়ানমারে দু’টি সেতু ভেঙে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দালয় শহর। ‘আফটারশক’-এর কারণে বারবার বাধার মুখে পড়েছে উদ্ধারকাজ। দেশের অন্তত ছ’টি প্রদেশে শুক্রবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। অতীতেও একইমাত্রার ভূমিকম্প বহুবার হয়েছে এই অঞ্চলে।