জয়ের খিদে বেশি দেখলাম অস্কারের দলের

Must read

মানস ভট্টাচার্য
রবিবাসরীয় বড় ম্যাচে দুটো বিষয়ে মোহনবাগানকে টেক্কা দিল ইস্টবেঙ্গল (east bengal vs mohun bagan match)। এক—ফিটনেস। দুই—মরিয়া মানসিকতা। এক কথায়, জেতার খিদেটা অস্কার ব্রুজোর ফুটবলারদের মধ্যে যতটা দেখতে পেলাম, ততটা জোসে মোলিনার ছাত্রদের কাছ থেকে পেলাম না।

খুব উঁচু মানের ফুটবল না হলেও, বেশ একটা উপভোগ্য ম্যাচের সাক্ষী রইলাম। একটা বিষয় ভাল লেগেছে, সেটা হল দুই কোচের ইতিবাচক মানসিকতা। আর ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট আমার কাছে হামিদ আহদাদের চোট। ও চোট পেয়ে মাঠ না ছাড়লে, দিয়ামানতাকোস খেলার সুযোগ পেত না। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়কও বনে যেত না।
প্রথমার্ধে মোহনবাগান খুব সফট ফুটবল (east bengal vs mohun bagan match) খেলেছে। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা রীতিমতো পাওয়ার ফুটবল খেলেছে। অস্কারের ছেলেরা এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ছিল না। মোহনবাগানের ফুটবলারদের পায়ে বল পড়লেই কড়া ট্যাকল করেছে। মাঠের প্রতিটি জায়গায় ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের দেখা গিয়েছে। যেটা মোহনবাগান পারেনি। ফলে বল পজেশনেও এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ।
ইস্টবেঙ্গলের আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার কেভিন সিবিল্লে তো অনবদ্য খেলেছে। জেমি ম্যাকলারেনকে বোতলবন্দি করে রেখেছিল কেভিন। পরিষ্কার ফুটবল খেলে ছেলেটা। এতটাই ক্লোজ মার্কিংয়ে রেখেছিল যে, ম্যাকলারেন সেভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেনি। পাল্লা দিয়ে ভাল খেলেছে আনোয়ার এবং নুঙ্গাও। অস্কারের টিম ফিটনেস অনেকটাই এগিয়ে। দলের প্রতিটি ফুটবলার খুব দ্রুত নড়াচড়া করছে। মাঝমাঠের লড়াইয়েও টেক্কা দিয়েছে প্রতিপক্ষকে। অনিরুদ্ধ থাপা, আপুইয়া, সাহালরা বল ধরলেই তা কাড়ার জন্য এগিয়ে এসেছে ক্রেসপোরা। মিগুয়েলের মতো অ্যাটাকিং মিডিও নেমে এসে রক্ষণকে সাহায্য করেছে। উইং দিয়ে লিস্টনের দৌড় মোহনবাগানের সেরা অস্ত্র। কিন্তু এই ম্যাচে একটা দুর্দান্ত ফ্রি-কিক ছাড়া লিস্টনের কাছ থেকে আর কিছুই পেলাম না।

আরও পড়ুন-অর্থাভাবে থেমে থাকবে না মেধা, ৪০ জনকে বৃন্দাবন মাতৃমন্দির স্কলারশিপ

দিয়ামানতাকোসের দ্বিতীয় গোলের সময় তো ওর ধারেকাছে মোহনবাগানের দুই স্টপারকে দেখতে পেলাম না! এতটা ফাঁকা জায়গা দিলে স্ট্রাইকাররা তো গোল করবেই। দ্বিতীয়ার্ধে কামিন্স নামার পর মোহনবাগান অবশ্য অনেক ভাল খেলেছে। দু’গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর, ইস্টবেঙ্গল কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েছিল। সেই সুযোগে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল মোলিনার ফুটবলাররা। অনিরুদ্ধ থাপার গোলে সমতা ফেরানোর পর মনে হয়েছিল, ম্যাচটা ড্র করতে ফেলতে পারে মোহনবাগান। তবে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ আগাগোড়া জমাট ফুটবল খেলে তা রুখে দিয়েছে।

Latest article