প্রতিবেদন : লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই গোল হামিদ আহদাদের। মরোক্কান স্ট্রাইকারের ৬৮ মিনিটে করা গোলে নামধারী এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। টানা দু’ম্যাচ জিতে লাল-হলুদের ঝুলিতে ৬ পয়েন্ট। তিন ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্ট নামধারীরও। তবে শেষ ম্যাচ হেরে গেলেও, হেড টু হেডে এগিয়ে থাকার জন্য নামধারীকে টপকে শেষ আটে উঠে যাবে ইস্টবেঙ্গল।
অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়লেন মিগুয়েল ফিগুয়েরাও। ব্রাজিলীয় অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার প্লে-মেকারের ভূমিকায় অনবদ্য। লাল-হলুদের (East Bengal) জয়সূচক গোলটিও এল মিগুয়েল-হামিদের যুগলবন্দিতে। এবং মহম্মদ রশিদ। ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠের হৃৎপিণ্ড প্যালেস্তাইন জাতীয় দলের সদস্য। গোটা মাঠজুড়ে ফুটবল খেলে গেলেন রশিদ। সবে মরশুমের শুরু। কেউই পুরোপুরি ফিট নন। তবে এই তিন নতুন বিদেশিকে নিয়ে কিন্তু স্বপ্ন দেখতেই পারেন লাল-হলুদ ভক্তরা।
আরও পড়ুন-বাঙালি মনীষীদের ছবি হাতে সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ তৃণমূলের
চার বিদেশিকে রেখেই এদিন দল সাজিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজো। মাঝমাঠে রশিদ, মিগুয়েল ও সাউল ক্রেসপো। স্ট্রাইকারে একা দিয়ামানতাকোস। শুরু থেকেই নামধারীকে চেপে ধরেছিল ইস্টবেঙ্গল। বিরতির আগেই হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারতেন মিগুয়েল। দু’বার তাঁর হেড যথাক্রমে পোস্ট ও ক্রসপিসে লাগল। একবার শট পোস্টে ফিরে এল। দুটো দারুণ সেভ করলেন নামধারীর গোলকিপার নীরজ কুমার। একবার রশিদের জোরালো শট বাঁচালেন। আরও একবার ক্রেসপোর হেড গোলে ঢোকার মুখে অসাধারণ দক্ষতার দলকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করলেন। ফলে একচেটিয়া প্রাধান্য রেখেও বিরতির আগে গোলের দেখা পায়নি ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন মিগুয়েলরা। কিন্তু সুযোগ তৈরি করেও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। গোলের জন্য মরিয়া অস্কার ৬০ মিনিটে দিয়ামানতাকোসকে তুলে নিয়ে মাঠে নামিয়ে দেন হামিদ। আর মাঠে নামার আট মিনিটের মধ্যেই লক্ষ্যভেদ করেন লাল-হলুদের মরোক্কান স্ট্রাইকার। মিগুয়েলের কর্নার থেকে নিখুঁত হেডে বল জালে জড়ান তিনি। এগিয়ে যাওয়ার পর, আরেক বিদেশি আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার কেভিন সিবিল্লেকেও মাঠে নামিয়ে দেন অস্কার। ফলে এই ম্যাচে নিজের ছয় বিদেশিকেই পরখ করে নিলেন ইস্টবেঙ্গল। শেষ দিকে এডুমন্ডের সেন্টার থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন হামিদ। নইলে তাঁর নামের পাশে জোড়া গোল লেখা থাকত।
তবে এত কিছুর পরেও চিন্তা রয়ে গেল পুরনো দুই বিদেশিকে নিয়ে। প্রথম ম্যাচে পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনা গোল পেয়েছিলেন দিয়ামানতাকোস।
এদিন গ্রিক স্ট্রাইকার সারাক্ষণ উদ্দেশ্যহীন ভাবে ছুটোছুটি করেই দায়িত্ব সারলে। এবং সাউল। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে নিয়ে যত কম কথা লেখা যায়, ততই ভাল!