প্রতিবেদন : মোহনবাগান যখন দ্বিমুকুট জিতে আগামী মরশুমের জন্য আরও শক্তিশালী দল গড়তে কোমর বেঁধে নেমেছে, তখন তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) নিঃশব্দে ঘর গোছানোর কাজ সারছে। তবে মোহনবাগানকে দলগঠনে টেক্কা দেওয়ার লড়াইয়ে লাল-হলুদের প্রধান অন্তরায় ফুটবল বাজেট। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টের সময় ইমামি হাউসে ক্লাব ও লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা বৈঠকে বসছেন বাজেট-সহ নতুন মরশুমের দলগঠন নিয়ে আলোচনা করতে। ক্লাব কর্তারা বাজেট বাড়ানোর কথা বলবেন লগ্নিকারীকে।
এখনও পর্যন্ত গত মরশুমের দল থেকে তিন বিদেশি ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভা, স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপো এবং জর্ডনের সেন্টার ব্যাক হিজাজি মাহেরের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করা হয়েছে। চেন্নাইয়িন এফসি থেকে দেবজিৎ মজুমদারকে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ডেভিড লাললানসাঙ্গা এবং প্রভাত লাকরাকে নিয়েছে তারা। হায়দরাবাদ এফসি-র দু’জন ফুটবলারকেও চূড়ান্ত করেছে ক্লাব। ওড়িশা এফসি-র ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার দিয়েগো মরিসিওকে পেতে ট্রান্সফার ফি দিতে রাজি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মরিসিওকে পাওয়া কঠিন। কেরালা ব্লাস্টার্সের তারকা স্ট্রাইকার দিমিত্রি দিয়ামানতাকোসকে পাওয়ার আশা এখনও ছাড়েনি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু পারিশ্রমিক বাড়িয়ে তাঁকে ধরে রাখতে চায় কেরল। ক্লেটনের সঙ্গী হিসেবে ভাল মানের বিদেশী স্ট্রাইকার প্রয়োজন। দরকার আরও একজন বিদেশি ডিফেন্ডার এবং মিডফিল্ডার।
ক্লাব আগামী মরশুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (এসিএল) টু-এর যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্লে-অফ খেলবে। তাই সপ্তম বিদেশিও নেওয়া হতে পারে। দেশি-বিদেশি কতজন ফুটবলার এখনও নিতে হবে এবং তারজন্য বাজেট কত হতে পারে, কোন ফুটবলারের জন্য অলআউট যাওয়া উচিত, সে সব নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা আজকের বৈঠকে।
আরও পড়ুন- ঝড় তুলে সানরাইজার্স তিনে