আজ সুপার কাপ ডার্বি, শেষ চারের লক্ষ্যে দুই প্রধান

আগ্রাসী অস্কার, চাপে নেই মোলিনা

Must read

প্রতিবেদন: শুক্রবার সুপার কাপে সুপার ডার্বি (super cup derby) কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল। মাণ্ডবী নদীর তীরে ফাতোরদায় মহারণ জিতে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই দুই প্রধানের। অঙ্কের বিচারে ডার্বি ড্র করতে পারলেই মোহনবাগানকে ছিটকে দিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে সুপার কাপের সেমিফাইনালে চলে যাবে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, মোহনবাগানের সামনে জেতা ছাড়া কোনও রাস্তা নেই। একইসঙ্গে গ্রুপে ডেম্পো-চেন্নাইয়িন ম্যাচের দিকেও নজর রাখতে হবে। তবে সমীকরণ ভুলে শিল্ড ফাইনালে হারের জবাব দিয়ে ডার্বি জিততে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। দুই স্প্যানিশ কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই মেগা ম্যাচের অন্যতম আকর্ষণ। ইস্টবেঙ্গল কোচ ডার্বি জিততে আক্রমণাত্মক ফুটবলকেই অস্ত্র করছেন। অস্কারের আগ্রাসন-নীতির পাল্টা জবাব না দিয়েও পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিজেদের কিছুটা এগিয়ে রাখছেন মোহনবাগান কোচ জোসে ফ্রান্সিসকো মোলিনা।

লাল-হলুদ কোচ ধরেই নিয়েছেন, মোহনবাগান অল আউট যাবে ম্যাচ জেতার জন্য। তবে পাল্টা আক্রমণের রণনীতি তৈরি রাখছেন অস্কার। তিনি বলেন, এই মরশুমে আমরা দু’টি ডার্বির মধ্যে একটি জিতেছি এবং শিল্ড ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরেছি। তবে সুপার কাপ ডার্বিতে আমরা জয়ের জন্যই ঝাঁপাব। ড্রয়ের অঙ্ক মাথায় রাখছি না। ম্যাচের পর যেন আক্ষেপ না থাকে যে, ড্র করার জন্য কেন রক্ষণাত্মক ফুটবল খেললাম। যেটা গত মরশুমে আমাদের করতে হয়েছিল। তাই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলব।

আরও পড়ুন-ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক কাটবে সম্পর্কের শৈত্য?

পরিস্থিতির বিচারে নিজেদের সুবিধার কথা জানিয়েছেন মোহনবাগান কোচ। মোলিনা বলছেন, ড্র করার লক্ষ্যে মাঠে নামার থেকে জয়ের মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামলে আমরা অনেকটা এগিয়ে থাকব। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে সমর্থকদের খুশি করতে চাই। ডেম্পোর বিরুদ্ধে প্রচুর গোলের সুযোগ নষ্টের পর অনুশীলনে পরিশ্রম করেছেন জেসন কামিন্স, মনবীর সিংরা। তবে ফাতোরদার গ্যালারিতে সমর্থকদের মিস করবেন মোলিনা। বললেন, বড় ম্যাচে গ্যালারি প্রায় ফাঁকা থাকলে ভাল লাগে না। আক্ষেপ বাগান ডিফেন্ডার শুভাশিস বোসের গলাতেও। ডার্বি জিতেই সমর্থকদের উপহার দিতে চান তিনি।

পরপর ডার্বি (super cup derby) খেলা নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। অস্কারের কথায়, মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলকে এক গ্রুপে রাখার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এই মরশুমে ১১টা ম্যাচ খেলেছি। তার মধ্যে ৩টে ডার্বি। তবে আরও একটা ডার্বির জন্য আমরা তৈরি। মাঠ নিয়ে ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন অস্কার। ফাতোরদার মাঠের প্রস্থ ৬৬ মিটার। বিভিন্ন জায়গায় গর্ত। তবে কোনও অজুহাত দিতে রাজি নই। ইস্টবেঙ্গল মিডিও সাউল ক্রেসপো বললেন, সাজঘরে সবাই ফুরফুরে মেজাজে। শুধু জয় চাই। ড্রয়ের ভাবনাই নেই।

Latest article