আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতা, বিদেশি নির্বাচনে বড় গলদ, সরব প্রাক্তনরা

তাঁদের আবেগ নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা চলছে। সমর্থকদের মতোই আইএসএলে ধারাবাহিক ব্যর্থতা নিয়ে সরব ক্লাবের প্রাক্তনরাও।

Must read

প্রতিবেদন : মরশুম আসে, মরশুম যায়—আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য বদলায় না। আরও একটা ব্যর্থ আইএসএল মরশুম শেষ করতে চলেছে দল। ক্ষোভের আগুন লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। তাঁদের আবেগ নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা চলছে। সমর্থকদের মতোই আইএসএলে ধারাবাহিক ব্যর্থতা নিয়ে সরব ক্লাবের প্রাক্তনরাও।
আসিয়ানজয়ী দেবজিৎ ঘোষ একরাশ বিরক্তি নিয়ে বলছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলে অনেক সমস্যা। কোনও পরিকল্পনাই নেই। বিদেশি রিক্রুটমেন্ট ঠিকঠাক হয়নি। দলে এত চোট সমস্যা কেন? ট্রেনার, ফিজিও, মেডিক্যাল টিম কী করছে? আগে ক্লাব কর্তারা দল চালিয়েছে। রেজাল্ট কি এত খারাপ ছিল? একবার পুরোপুরি ক্লাব কর্তাদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে দেখুক ইনভেস্টর। মোটা টাকার মাইনে দিয়ে একজন সিটিও (চিফ টেকনিক্যাল অফিসার) রেখে লাভ কী! এখন যে সিটিও রয়েছে ওর কাজকর্ম নিয়ে সন্দেহ আছে। আমার তো মনে হয় ওর কোনও যোগ্যতাই নেই।’’

আরও পড়ুন-দোহা ডায়মন্ড লিগ দিয়ে ফিরছেন নীরজ

লাল-হলুদের ঘরের ছেলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের গলায় শুধুই হতাশা। তাঁর কথায়, ‘‘ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে আর এক কথা বলতে ভাল লাগে না। খারাপ লাগে সমর্থকদের কথা ভেবে। আমার তো মনে হয় এবার ভাবার সময় এসেছে সবার। আমাদের সময় হলে মাঠে নামতে পারতাম না। এবার ভাল কিছু আশা করেছিলাম। সেটাও হল না।’’ আর এক প্রাক্তনী ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘প্রধান সমস্যা বিদেশি রিক্রুটমেন্টে। কারা কীভাবে প্লেয়ার আনছে কে জানে!’’ ইনভেস্টর ইমামির তরফে বিভাস আগরওয়াল বলছিলেন, ‘‘সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে ম্যানেজমেন্ট। তারা বলতে পারবে কোথায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা টেকনিক্যাল টিমের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করি না। আশা করি, মরশুমের শেষটা আমরা ভাল করতে পারব।’’ এদিকে, দলের গ্রিক স্ট্রাইকার দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে বেশি গোল না পাওয়ার কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘‘কেরলে সতীর্থরা আমাকে ভাল চিনত। এখানে আমাদের বোঝাপড়াটা সেই জায়গায় পৌঁছয়নি।’’

Latest article