চিত্তরঞ্জন খাঁড়া: আইএসএলে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (ইস্টবেঙ্গল ০ মহামেডান ০) ও মহামেডান। তাও আবার আইএসএলের ১০০০তম ম্যাচ। শনিবাসরীয় যুবভারতীর বড় ম্যাচে ফুটবলের লড়াই ছাপিয়ে সঙ্গী ‘বিতর্ক’। সৌজন্যে রেফারি হরিশ কুণ্ডুর সিদ্ধান্ত।
ম্যাচের ৩০ মিনিটেই জোড়া লাল কার্ডে ৯ জন হয়ে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল (ইস্টবেঙ্গল ০ মহামেডান ০)। নন্দকুমার ও নাওরেম মহেশ মার্চিং অর্ডার পাওয়ার পরেও বাকি ৭০ মিনিট অদম্য লড়াই করে ১১ জনের মহামেডানের বিরুদ্ধে ডার্বি গোলশূন্য ড্র রাখল অস্কার ব্রুজোর দল। চলতি আইএসএলে প্রথম পয়েন্টও ঘরে তুলল ইস্টবেঙ্গল। বিপক্ষকে ন’জনে পেয়েও একাধিক সুযোগ নষ্টের খেসারত দিল মহামেডান। তবে ৯ জনের চোয়াল চাপা লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গলের এই ড্র জয়ের থেকে কম নয়। আইএসএলে হাফডজন হারের পর মনোবল তলানিতে চলে যাওয়া দল ভুটান থেকে আত্মবিশ্বাসের অক্সিজেন নিয়ে ফিরে কঠিন ম্যাচ থেকে প্রথম পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছে। ড্রয়ের পরেও ইস্টবেঙ্গল সেই লিগের লাস্টবয় হয়ে ১৩ নম্বরেই। মহামেডান ৫ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে।
ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচের ২৯ মিনিটে। তার আগে ২১ মিনিটে নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে রেমসাঙ্গা ইস্টবেঙ্গলের দিয়ামানতাকোসকে ফাউল করলেও রেফারি পেনাল্টি দেননি। এর মিনিট সাতেক পরেই সেই ঘটনা। মহামেডানের অমরজিৎ সিং বাধা দেন ইস্টবেঙ্গলের নন্দকে। নন্দ বল নিয়ে এগোনোর সময় পিছনে ডান হাত চালালে তা সোজা অমরজিতের মুখে আঘাত করে। সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান নন্দকে। নাটকের আরও বাকি ছিল। রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে ক্রুদ্ধ মহেশ মাঠে পড়ে থাকা একটি জলের বোতলে সজোরে লাথি মারেন। এর আগেই একটা হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মহেশ। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে লাল-হলুদ উইঙ্গারকে বাইরের পথ দেখান রেফারি হরিশ কুণ্ডু। রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও ইস্টবেঙ্গল কিন্তু মহেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। কোচ তেমনই ইঙ্গিত দিলেন।
আরও পড়ুন- অভিষেকের বিজয়া সম্মিলনী: ‘পাশে ছিলাম-পাশে থাকব’
টিমের দুই সেরা উইঙ্গার বেরিয়ে যাওয়ায় আপফ্রন্টে দিয়ামানতাকোস একা হয়ে যান। সংযুক্ত সময়ের ১০ মিনিট নিয়ে বাকি ৭০ মিনিট ডিফেন্স আগলে মহামেডানের একের পর এক আক্রমণ রুখে দলের মানরক্ষা করলেন হিজাজি, আনোয়ার আলি, লালচুংনুঙ্গারা। ইস্টবেঙ্গলের গোলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন গোলকিপার প্রভসুখন গিল। তবে স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় এগিয়ে যেতে পারেনি মহামেডান। এরমধ্যেই ম্যাচ চলাকালীন মহামেডানের কাসিমভ ও অ্যালেক্সিস গোমেজের মধ্যে ঝামেলা বাধে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যালেক্সিসকে তুলেও নেন কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ।