প্রতিবেদন : ২০১৮ সালের পর আবার সুপার কাপের ফাইনাল খেলতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। মহানদীর তীরে রবিবার ট্রফির লড়াইয়ে লাল-হলুদের শেষ বাধা সার্জিও লোবেরার ওড়িশা এফসি। ফাইনালে শক্তি বাড়িয়ে নামছে ইস্টবেঙ্গল। এশিয়ান কাপ খেলে ফিরে শুক্রবার ভুবনেশ্বরে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন উইঙ্গার নাওরেম মহেশ সিং ও সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গা। কার্ড সমস্যায় সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি মাঝমাঠের ভরসা বোরহা হেরেরা। তিনিও ফাইনালে ফিরবেন।
আরও পড়ুন-বইমেলা হইচই মেলা
মরশুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠলেও মোহনবাগানের কাছে হেরে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল লাল-হলুদের। আরও একটা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। দীর্ঘদিন লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাবে ট্রফি ঢোকেনি। ভুবনেশ্বরে শত্রুর ডেরায় ফাইনাল খেলতে হলেও ট্রফির খরা কাটিয়েই কলকাতায় ফিরতে চায় কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল।
খারাপ সময় কাটিয়ে ইস্টবেঙ্গল আবার স্বমহিমায়। লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছে মসিহা কোচ কার্লেস। তাঁদের বিশ্বাস, স্প্যানিশ কোচের দর্শনই আবার ইস্টবেঙ্গলকে পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে এনেছে। গত দু’বছরের দুঃস্বপ্ন ভুলে আইএসএলের প্লে-অফেও প্রিয় দলকে দেখতে চান তাঁরা।
আরও পড়ুন-বইমেলা হইচই মেলা
সুপার কাপ ফাইনালের আগে ওড়িশা দারুণ ছন্দে। শেষ ১৫ ম্যাচ অপরাজিত তারা। ইস্টবেঙ্গলও শেষ ৯ ম্যাচ অপরাজিত। শুক্রবার সন্ধ্যায় রয় কৃষ্ণ, দিয়েগো মরিসিওদের থামানোর মহড়ায় ব্যস্ত থাকেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। হিজাজি মাহের, নিশু কুমারদের বুঝিয়ে দিলেন দায়িত্ব। ক্লেটন সিলভা সেমিফাইনালে পেনাল্টি মিস করলেও কার্লেস জানিয়ে দিয়েছেন, ফাইনালে পেনাল্টি পেলে ক্লেটনই মারবে।