প্রতিবেদন : সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ তাদের এক বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এ পর্যন্ত করা উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরে। বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, সাংসদ কীর্তি আজাদ, জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাধিপতি জানান, ‘এই এক বছর আমরা যেসব কাজ করেছি তার একটা খতিয়ান তুলে ধরা হয়। এক বছরে বহু রাস্তার সংস্কার হয়েছে। তবে এখন বর্ষা চলায় আপাতত সংস্কারের কাজ বন্ধ আছে। সম্প্রতি বৃষ্টির জন্য অনেক রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। সেগুলি বর্ষার পর মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেননা এখন রাস্তা সংস্কার হলে আবার বেহাল হতে পারে। তাই বর্ষার পর রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হবে। এ জন্য বেহাল রাস্তাগুলির একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সাজানো হবে সংস্কৃতি লোকমঞ্চকে। মেমারি ডাকবাংলোও সাজবে নতুন রূপে।’ অতিরিক্ত জেলাশাসক শুভলক্ষ্মী বসু বলেন, ‘জেলা পরিষদের সমস্ত সম্পত্তি জিও ট্যাগ করা হচ্ছে। অনলাইন পরিষেবা চালু হাওয়ায় বাড়িতে বসেই কর বা ভাড়া জমা করা যাবে।’
আরও পড়ুন- অপ্রতিরোধ্য ডায়মন্ড হারবার
এক বছরের সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরতে একটি বই প্রকাশ করা হয়। তাতে কোথায় কোথায় কী কী কাজ করা হয়েছে সব তুলে ধরা হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, জল জীবন মিশন প্রকল্পের কাজও অনেকটাই এগিয়েছে। বাড়ি বাড়ি পৌঁছেছে পানীয় জল। এখনও পর্যন্ত যেসব গ্রামে পাইপ লাইন পৌঁছয়নি সেখানেও দ্রুত কাজ হবে। পঞ্চম অর্থ কমিশনের টাকা খরচে পূর্ব বর্ধমান অনেক জেলা পরিষদকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে। মেন্টর মহম্মদ ইসমাইল জানান, আগামী দিনেও কাজের গতি অব্যাহত থাকবে। কাজের মান খারাপ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল বাড়াতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বহু সম্পত্তি এক জায়গায় আনা হয়েছে। সেগুলি এবার কাজে লাগানো হবে। অনেকে সম্পত্তি ব্যবহার করে ঠিকমতো ভাড়া দিত না। বকেয়া ভাড়া আদায় চলছে। উন্নয়নমূলক কাজে সে টাকাও খরচ করা হবে।