সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়, বেলুড় : পূর্ব ভারতের প্রথম গড়ে-ওঠা বেলুড়ের যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে বহির্বিভাগের পরিষেবা চালু হয়ে গেল। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের আয়ুস বিভাগের অধীনে ৩০০ শয্যার ওই হাসপাতালটি গড়ে উঠছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথিতে স্নাতকস্তরের পঠনপাঠনও শুরু হয়ে যাবে এখানে। প্রথম বছর ৫০ জন পড়ুয়া এখানে ভর্তি হবেন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ভার্চুয়ালি এখানকার আউটডোরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন থেকে প্রতিদিনই চালু থাকবে বহির্বিভাগ। আপাতত ১ জন চিকিৎসক ও ৩ জন প্রশিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ক্যাম্পাসের একটি ব্লিডিংয়ে এখন চলছে আউটডোর পরিষেবা। ওখানেই ৫ তলা নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে। নতুন ভবনে দুটি অডিটোরিয়াম ও মেডিটেশন রুম থাকবে। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চিকিৎসক হিসেবে রয়েছেন যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথির বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ শাহ আলম। পুনের ন্যাচারাল ইন্সটিটিউট অফ ন্যাচারোপ্যাথি সেন্টারের মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওভারব্রিজ
২০১৯ সালের ২ মার্চ এই যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালটি তৈরির সমস্ত কাজকর্ম তদারকি করছেন রাজ্যের যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি কাউন্সিলের সভাপতি তুষার শীল। তুষার শীল বলেন, ‘বিজ্ঞানসম্মতভাবে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে এখানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হবে। এখানে থেকেও রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। যোগা এবং সূর্যের আলো, বাতাস, মাটি প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে এখানে চিকিৎসা হবে। সেইসঙ্গে এখনে ওজোনথেরাপিও চালু করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যোগকে নামিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলছে তাদের মুখোশ খুলে দিয়ে যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথির মাধ্যমে কীভাবে প্রকৃতপক্ষে রোগ নিরাময় সম্ভব, তা আমরা দেখিয়ে দের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় পূর্বভারতের প্রথম গড়ে-ওঠা এই যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ সারা বিশ্বের কাছে যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের নতুন দিশা দেখাবে।’ এখানে বহির্বিভাগ চালু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষও।